ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘বৃষ্টি ও মিলাররা উৎপাদনে যায়নি তাই চালের দাম কিছুটা বেড়েছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
‘বৃষ্টি ও মিলাররা উৎপাদনে যায়নি তাই চালের দাম কিছুটা বেড়েছে’

ঢাকা: টানা বৃষ্টি ও মিলাররা ধান সংগ্রহের পর এখনও উৎপাদনে যেতে পারেনি, ফলে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। একই সঙ্গে বাজারে চালের যোগান কম নেই এবং কোনোভাবেই দেশে খাদ্য ঘাটতির সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১৮ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম উপস্থিত ছিলেন।

বোরো মৌসুম চললেও চালের দাম বাড়ছে- এমন প্রশ্নে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতি নির্ভর বাংলাদেশ, এটা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। যে সময়টা যাচ্ছে সেটাকে সন্ধিক্ষণ বলা যেতে পারে। পুরনো চালের শেষ সময় নতুন চালের আগমন। এই সময়ে মিলাররা বাজার থেকে ধান কেনায় ব্যস্ত রয়েছেন। ফলে তারা এখনও সঠিকভাবে উৎপাদনে যায়নি। তারপরও আমরা দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার যথেষ্ট চেষ্টা করছি। আমাদের মনিটরিং খুব শক্ত। আশাকরি চালের দাম সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে।

তিনি বলেন, অটো রাইসমিল ছাড়া হাস্কিং চাতাল যেগুলো রয়েছে, এরা তখন বাজারটা কন্ট্রোলে রাখে। দুই গাড়ি কেনে দুই গাড়ি ছাড়ে। অটো রাইস মিলগুলো মজুদ সম্পন্ন করে তারা এখনও উৎপাদনে যায়নি। হাস্কিং চাতালে সিদ্ধ করে শুকাতে দু-তিনদিন লাগে, সেটা বৃষ্টির কারণে তিন-চারদিন লেগে যাচ্ছে। সেই কারণে অতিবৃষ্টি হলে কিন্তু একটু দাম বাড়ে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবার বোরো মৌসুমে আমাদের ১১ লাখ টন ধান কেনার ঘোষণা আছে। ১৬ মে পর্যন্ত ছিল চুক্তির শেষ তারিখ, এ সময়ের মধ্যে ১০ লাখ ৭৬ হাজার টনের মতো কেনার চুক্তি হয়ে গেছে। প্রায় ৯৮ শতাংশ সংগ্রহের জন্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। সেই দিক দিয়ে মনে করছি আমরা সফল আছি।

হাওরে আহামরি ধান নষ্ট হয়নি মন্তব্য করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে ২ থেকে ৩ শতাংশ ধান নষ্ট হয়েছে। তবে এবার অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে ধান আবাদ হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সিলেটে দেওয়া এক বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি ফায়দা লোটার জন্য, রাজনীতির জন্য বক্তব্য দেয় সেটা হলো ভিন্ন কথা। আলমগীর সাহেব সিলেটে গিয়ে বলেছেন, সরকারের পরিকল্পনার অভাবে প্রতিদিনই চালের দাম বাড়ছে, তার একথা সত্য নয়। এখানে কৃষকরা রাস্তার অভাবে কিংবা বহন করার অভাবে ধান বিক্রি করতে পারছেন না, বাজারের দাম কম। তাদের সময় তো হাওরে কোনো আবাদই হতো না। তাদের সময় তো হাওরে ধানের চাষই হতো না।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর হাওরে ফসলের চাষ শুরু হয়। এটা হল বোনাস ফসল। প্রধানমন্ত্রী হাওরের ফসল নিয়ে চিন্তা করায় যে ফসলটা পাওয়া যাচ্ছে, তা বাড়তি ফসল। সেটা থেকে বলতে পারি আমাদের পরিকল্পনার অভাব নেই, হাওরকে হাওরের মতোই রাখতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, মে ১৮,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।