ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ‘গোল্ডেন সিল্ক রোড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস’ চালু

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪৩, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ‘গোল্ডেন সিল্ক রোড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস’ চালু

বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘গোল্ডেন সিল্ক রোড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস বাংলাদেশ’। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে চীন সম্পর্কিত প্রতিবেদন এবং সাংবাদিকদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিএমজি বাংলার ঢাকা অফিসে আয়োজকদের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। যৌথ আয়োজক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—বাংলাদেশ-চায়না আপন মিডিয়া ক্লাব, বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাব এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনগুলো।

আয়োজনে বাংলাদেশ-চায়না আপন মিডিয়া ক্লাব, বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবসহ একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশি সিনে-জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ এবং অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স।

চীনা দূতাবাসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই অ্যাওয়ার্ডসের সহ-আয়োজক হিসেবে থাকবে চায়নিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ, ওভারসিজ চায়নিজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ এবং আপন মৈত্রী বিনিময় কেন্দ্র।

অনুষ্ঠানে সিএমজি বাংলার পরিচালক ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী বলেন, চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এই মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই প্ল্যাটফর্ম চীন ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমের মধ্যে সহযোগিতা ও যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় করবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা দিন দিন বাড়ছে। এই নতুন উদ্যোগ সাংবাদিকদের উৎসাহিত করবে এবং চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়াবে।

অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠনের প্রতিনিধিরা বলেন, এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে আরও বেশি মানসম্মত সংবাদ তুলে ধরা সম্ভব হবে। এ ছাড়া, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।

আপন মৈত্রী বিনিময় কেন্দ্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট চাং ছিনবিন বলেন, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ চীন সম্পর্কিত আরও বৈচিত্র্যময় ও তথ্যবহুল সংবাদ দেখতে পারবে। এতে দুই দেশের মৈত্রী আরও গভীর হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চায়নিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট চিয়া লেইমিং এবং আয়োজক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি এবং সিএমজি বাংলার সাংবাদিকরা।

এ বছর মোট ৫টি ক্যাটাগরিতে ৩০ জন সাংবাদিককে এই সম্মাননা দেওয়া হবে। এই অ্যাওয়ার্ড সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।

টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।