ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে ভুয়া তথ্য প্রদানের অভিযোগে কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোওয়ার্ডিং এজেন্ট মো. শামসুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শামসুর রহমান তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩১ কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য প্রদর্শন করেন। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে তার নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৮ হাজার টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এছাড়া পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় হিসেবে ২৯ কোটি ৩২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে তার নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৪ কোটি ১৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
তবে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় মাত্র ৪১ কোটি ৩৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা। ফলে ৫২ কোটি ৭৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা করবে কমিশন।
এসএমএকে/এইচএ/