ঢাকা, বুধবার, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

নবমীতে দেবীর বিদায়ের সুর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৫৪, অক্টোবর ১, ২০২৫
নবমীতে দেবীর বিদায়ের সুর নবমীতে দেবীর বিদায়ের সুর, ছবি ডিএইচ বাদল

আজ বুধবার (১ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গাপূজার শুভ নবমী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার চতুর্থ দিন এটি।

অষ্টমী পেরিয়ে নবমীর এ দিন থেকেই দেবীর বিদায়ের সুর বেজে ওঠে। পূজা আচার অনুযায়ী, আগামীকাল দশমীতে কৈলাশে (স্বামীর বাড়ি) ফিরে যাবেন দেবী দুর্গা।

বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই সনাতনী ভক্ত-শুভার্থীদের প্রচণ্ড ভিড়। চারপাশে সাজসাজ রব, ঢাক-ঢোলের শব্দে মুখর পুরো এলাকা। পূজামণ্ডপে ছিল ভক্তদের ভিড় আর অনুরণিত আরতির ধ্বনি। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মন্দির চত্বর ও আশপাশে র‌্যাব,পুলিশ,আনসারসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি লক্ষ্য করা গেছে।

আজ মহানবমী উপলক্ষে সকালে দুর্গার মহাস্নান ও তর্পণ সম্পন্ন হয়। ষোড়শ উপচারে পূজা করা হয়। মহানবমীতে বলিদান ও নবমী হোমের বিশেষ রীতি রয়েছে। আজ দেবী দুর্গার ১০৮টি নীলপদ্মের পূজা সম্পন্ন হবে। পূজা শেষে যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ।

মূলত নবমীই পূজার শেষ দিন। নবমী নিশীথেই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। তাই এই দিনটি শুধু আধ্যাত্মিকতার জন্য নয়, বিদায়ের আবেগও ভর করে ভক্তদের মনে। সনাতন বিশ্বাস মতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির আবির্ভাব ঘটান দেবী দুর্গা। নবমী তিথির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচার হলো সন্ধিপূজা, যা অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট মিলে মোট ৪৮ মিনিটব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে দেবী চামুণ্ডার পূজা করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এ সময়েই দেবীর হাতে বধ হয় মহিষাসুর আর ভগবান রামচন্দ্র জয় করেন রাবণকে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী বাসুদেব ধর বলেন, দুর্গা মায়ের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। রাত পোহালেই কৈলাশে ফিরে যাবেন মা দুর্গা। আবার আমাদের অপেক্ষা শুরু হবে আগামী বছরের পূজার জন্য। এবারের পূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা নিরাপদে পূজা উদযাপন করতে পেরেছেন। এজন্য আমরা সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

আগামীকাল বৃহসাপতিবার (২ অক্টোবর) দশমীর বিসর্জনের মধ্য দিয়েই শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব। তখনই ভক্তদের হৃদয়ে জাগবে মায়ের বিদায়ের বেদনা আর আগামী বছরের পুনর্মিলনের আশাবাদ।


ডিএইচবি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।