সম্প্রীতির বন্ধনে দেশজুড়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী উদযাপিত হয়েছে।
পঞ্চমীতে বোধন ও ষষ্ঠীতে আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুর্গাপূজা।
এদিন দেবীর বিদায় ঘণ্টাও শুরু হয়। দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ বছরের দুর্গাপূজার আয়োজন।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুরের তালতলায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপস্থিতিতে পূজামণ্ডপ প্রাঙ্গণ উৎসবমুখর পরিবেশের দেখা মেলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধরা পূজামণ্ডপে আসছে। মা দুর্গাদেবীর সামনে দাঁড়িয়ে ভক্তি ও শ্রদ্ধা করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। কেউবা দেবী বিদায়ের কথা ভেবে অশ্রুসিক্ত হয়েছেন।
শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই নয় পুজামণ্ডপ প্রাঙ্গণে অন্যান্য ধর্মের লোকদেরও দেখা গেছে। এসময় পূজামণ্ডপ প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির সদস্যদেরও দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
নির্মল নামের একজন বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তালতলার এই মণ্ডপে এসেছি মা দুর্গাকে দেখতে। অশুভ শক্তির বিনাশের মাধ্যমে দেশে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকবে এই কামনা করি।
আগারগাও তালতলা সার্বজনীন পূজা কমিটির অরূপ কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের শারদীয় দুর্গোৎসব ষষ্ঠী থেকেই শুরু হয় এবং দেবীকে বিসর্জনের মাধ্যমে দশমীর দিন শেষ হয়। আজকে মহানবমী, প্রতিদিনের মতো আজকেও পূজা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে পূজা শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, এই দুর্গাপূজার মহাত্ম হচ্ছে, অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সত্যের জয়। অশুভ শক্তি যতই শক্তিশালী হোক না কেন শুভ এবং সত্যের জয় অনিবার্য। মা দুর্গা আমাদের এই শিক্ষাই দিয়েছেন। আজকে ধরাধামে মা এসেছেন সত্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য, আমাদের আশীর্বাদ করার জন্য। আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, মমত্ববোধ, একে অপরের সাথে সম্প্রীতির বন্ধনে যেন আবদ্ধ হতে পারি—প্রতিবছর ধরাধামে এসে মা দুর্গা আমাদের এই চর্চাই শিখিয়ে যান।
সবাই যেন সম্প্রীতির বন্ধনে ভালোভাবে আবদ্ধ থাকতে পারি, মিলেমিশে ধর্মীয় উৎসব করতে পারি সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন অরূপ কুমার রায়।
আরকেআর/এমজেএফ