চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে সাপের ছোবলে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও একজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভোলাহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত দুই ব্যক্তি হলেন- ভোলাহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের খাড়োবাটরা গ্রামের মৃত মুসলিম আলীর ছেলে মো. আজিজুল হক (৪৮) এবং একই ইউনিয়নের আলালপুর ক্যাম্প পাড়া গ্রামের মো. আওকাত আলীর ছোট ছেলে মো. রানাউল ইসলাম (৩১)।
এছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন হোসেনভিটা গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে আনারুল ইসলাম (৫৫)।
জানা যায়, গত শনিবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ধানের জমিতে কাজ শেষ করে পা-হাত ধোয়ার সময় আজিজুল হকের পায়ে ছোবল দেয় সাপ। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
অপরদিকে শনিবার দিবাগত আনুমানিক রাত ২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় মো. রানাউল ইসলামকে সাপে কাটে। পরদিন সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে গোদাগাড়ী এলাকাতে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে বিলে ধানের জমি দেখতে গিয়ে সাপে ছোবল দেয় আনারুল ইসলামকে। পরে তাকে উদ্ধার করে রামেকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
ভোলাহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান তিনজনের হতাহতের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারছে না। এজন্য দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দিতে রাজশাহীতে নিতে হচ্ছে। এতে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে এবং রাস্তায় রোগী মারা যাচ্ছে। প্রশাসনের উচিত জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ করা।
তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. একেএম শাহাব উদ্দিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ জেলার সব উপজেলা হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম আছে। গত এক মাসে ভোলাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৬ জন সাপে কাটা রোগী এসেছিল। তার মধ্যে চারজনকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং দুইজনকে রাজশাহীতে রেফার্ড করা হয়। তবে সবাইকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়েছিল।
আরএ