টেকনাফের হ্নীলায় নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর পুকুর থেকে শিশু আফসির (৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
আফসি স্থানীয় হোয়াকিয়া পাড়া গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদের মেয়ে।
রোববার (৫ অক্টোবর)উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্বপানখালী গ্রামের একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে আফসি পানখালীর ভাড়া বাসা থেকে খেলতে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে।
রোববার সকাল থেকে স্বজন ও স্থানীয়রা আবারও খোঁজাখুঁজি শুরু করলে পূর্বপানখালীর হাজি ফরিদের বাড়ির সামনের পুকুরে আফসির নিথর দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
স্থানীয় মুহিব্বুল্লাহ জানান, কানের স্বর্ণের দুলের লোভে মেয়েটিকে হত্যা করতে পারে। ইঞ্জিনিয়ার মামুনের ভাড়া বাসার অপর প্রান্তের ফ্ল্যাটে মেয়েটিকে অপহরণ করে রেখেছিল তারা। কানের দুল বিক্রি হওয়ার পর জানাজানি হলে তারা মেয়েটিকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়।
তিনি আরেও জানান, যারা হত্যা করেছে তারা ইয়াবা আসক্ত ও অনলাইনে নিয়মিত জুয়া খেলে। ইয়াবা সেবনের টাকা না পেয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করে। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করে বিজিবির সহায়তায় হেফাজতে নেয় পুলিশ।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নুর জানান, শিশুটি অপহরণের পর থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার ২২ ঘণ্টা পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে শিশু আফসির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আফসির ছবি শেয়ার করে শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আরএ