জাতীয় জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির জন্য নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রোববার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চতুর্থ দিনের আলোচনার বিরতিতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির জন্য গণভোটের বিষয়ে একমত বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল। তবে আমরা চাই সে গণভোট নির্বাচনের আগেই হোক।
গণভোট কবে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জনগণ গণভোটে অভ্যস্ত না। আমরা মনে করি এটা যাতে জাতীয় নির্বাচনকে কোনো ধরনের সমস্যা করা ছাড়া, নভেম্বর অথবা ডিসেম্বর এটা করতে পারেন। তফসিলের আগেও করতে পারেন।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, গণভোট হয়ে গেলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে কোনো ধরনের বাধা নাই। জনগণকে একটা জটিল অবস্থা ফেলে না দিয়ে, মহাপরীক্ষায় না ফেলে সহজভাবে এগোলে আমরাও বাঁচি, জাতিও বাঁচে।
জুলাই সনদে আইনি ভিত্তি রচনার জন্য যদি গণভোটে যায়, তাহলে এটা সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হবে মন্তব্য করে জামায়াতের এ নেতা বলেন, গণভোট হলে এটা কখনো চ্যালেঞ্জ করতে গেল টিকবে না। পার্লামেন্টে এটাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে কোনো দূরত্ব নেই মন্তব্য করে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, গণভোটের রেজাল্ট যদি আমাদের বিপক্ষেও যায়, আমরা এখানে ছাড় দেবো। আমরা জনগণের সিদ্ধান্তকে মেনে নেবো। এটি নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, গণভোট আগে, না পরে এটা নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে। সবাই গণভোটের পক্ষে একমত হয়েছে। গণভোট আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। তার জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে একটা নিদের্শনা দিতে হবে। এরপরে কমিশন গণভোটের আয়োজন করতে পারবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামাতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির।
এমইউএম/জেএইচ