রাষ্ট্রের কার্যক্রমকে একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে চলতে দিতে হবে। জনগণের ভাগ্য নিয়ে কোনো ধরনের ‘ছিনিমিনি খেলা’ যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এনডিপি) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সালাহউদ্দিন এও বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের ‘অভিসন্ধির’ কাছে জাতি মাথা নত করবে না। কারণ, এ দেশের জনগণই হলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক।
সংবিধান পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো আইনানুযায়ী বৈধ ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ছাড়া সংবিধান বদলানোর অধিকার কারও নেই। নিয়মের বাইরে সংবিধান বদলানো হলে ভবিষ্যতে বারবার একই দাবিতে সংবিধান পরিবর্তনের চাপ সৃষ্টি হবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সরকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জনগণের অভিপ্রায় চূড়ান্ত হলেও তা বাস্তবায়নের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন এবং উপদেষ্টাদের শপথকে সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে হওয়া একটি ‘বৈধ প্রক্রিয়া’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, দেশের ৫৬ শতাংশ মানুষ যে পিআর পদ্ধতি বোঝেই না, সেই পদ্ধতি কি আমরা চাইতে পারি? এ ধরনের কথাবার্তা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যারা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছেন, তাদের সঠিক পথে ফিরে আসা উচিত। নির্বাচন বিলম্বিত হলে দেশে আবার ফ্যাসিবাদী উৎপাত বাড়বে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এখন আলোচনা চলছে যে আগামী নির্বাচন ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের ভিত্তিতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর অনেকটাই বাস্তবায়িত হচ্ছে। তবে সংবিধানের অংশটুকু বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী সংসদের প্রয়োজন হবে এবং এর জন্য সংবিধান সংশোধনের নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা আবশ্যক। এই অংশগুলোয় প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী জাতীয় সংসদকেই দায়িত্ব দিতে হবে।
ইএসএস/এমজে