ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তামাকজনিত রোগে বছরে দেড় লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
তামাকজনিত রোগে বছরে দেড় লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার জনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এছাড়া তামাকজনিত রোগব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর কারণে প্রতিবছর ব্যয় হয় ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামসুন নাহারের প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

এ সময় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে প্রাপ্ত বয়স্ক ১৫ লাখের অধিক নারী ও পুরুষ এবং ৬১ হাজারের বেশি শিশু আত্মঘাতী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এসব রোগ থেকে রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যানবাহন, রেলস্টেশন, বিভিন্ন জনসমাবেশস্থল ও গণপরিবহনে ধূমপান নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে জাহিদ মালেক বলেন, ২০১৯ সালে মিডফোর্ডসহ সারাদেশে নকল-ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির দায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার ১৪৫টি মামলা, ১২ কোটি ৪১ লাখ ৬ হাজার ৪৮৪ টাকা জরিমানা, ৩৯ জনকে কারাদণ্ড, ৪৪টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও আনুমানিক ৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা মূল্যের নকল ভেজাল অসুধ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়। এছাড়া আদালতের নির্দেশে আনুমানিক ৪৬ কোটি ৬২ লাখ মূল্যের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, গত বছর এ কারণে ৪১টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, ৩টি প্রতিষ্ঠানের সবধরনের ওষুধ উৎপাদন স্থগিত এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৯টি ওষুধের উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া মান বহির্ভূত হওয়ায় ৯টি ওষুধের নিবন্ধন বাতিল ও ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটি (ডিসিসি) দ্বারা ৯৯টি জেনেরিক ওষুধ বাতিল করা হয়েছে।

** হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে দুর্নীতির তদন্ত চলছে
** সারাদেশে ৪৯ হাজার অবৈধ নদ-নদী দখলদার শনাক্ত
** চলতি বছর হজ ৩০ জুলাই

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এসই/এসকে/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।