‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। যেখানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বে ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণ’ সংক্রান্ত বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫- অবিলম্বে কার্যকর হবে।
অধ্যাদেশটিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ এর ২টি ধারা সংশোধন করা হয়েছে। একটি হলো নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সংক্রান্ত ধারা ৩ এর উপধারা (৪) প্রতিস্থাপন করে একটি ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনের কথা বলা হয়েছে। আরেকটি হলো নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্ব সংক্রান্ত ধারা ৪ এর উপধারা (২) এর দফা (ক) এর- ক্রমিক নং (২) দ্বারা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বে ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণ’ সংক্রান্ত বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। এ ছাড়া দফা (ক) এর ক্রমিক নং (৬), (৭), (৮), (৯) ও (১১) পরিমার্জনক্রমে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এ অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনআইডি ইসির অধীনে আসলেও বাতিল করতে হবে ২০২৩ সালে করা এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করার আইনটি।
এর আগে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। পরবর্তীতে সেই আইন বাতিল করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনেই রাখার জন্য বলেছিল নির্বাচন কমিশন।
এমইউএম/ইইউডি/আরআইএস