গাজীপুরের টঙ্গীর কেমিক্যাল অগ্নিকাণ্ডে অগ্নিনির্বাপণকালে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. খন্দকার জান্নাতুল নাঈমকে অশ্রুসিক্ত বিদায় জানালেন সহকর্মী, স্বজন ও সহস্র মানুষ। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামালসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানাজার আগে শহিদ নাঈমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় অগ্নিসেনাদের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত পাঠের পর তার শ্বশুর আবেগঘন কণ্ঠে সবার কাছে সন্তানের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও দোয়ার আবেদন জানান।
নাঈমের মরদেহ জানাজা শেষে তার গ্রামের বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলার গড়দুয়ারা গ্রামে নেওয়া হয়। সেখানেই নিজ মাটির বুকে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন অগ্নিসেনাদের এই বীর সন্তান।
এক শোকবার্তায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জান্নাতুল নাঈমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
৩৭ বছর বয়সী জান্নাতুল নাঈম ২২ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর সাহারা মার্কেটের কেমিক্যাল কারখানায় অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় গুরুতর দগ্ধ হন। তার শরীরের ৪২ শতাংশ পুড়ে যায়। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। স্ত্রী ও এক সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন এই অগ্নিনির্বাপক নায়ক।
এজেডএস/এমএমআই/এমজে