ঢাকা, শুক্রবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৪ মে ২০২৪, ১৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মুক্তিজোটের নামে প্রতারণা ঠেকাতে সিইসির হস্তক্ষেপ কামনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৩ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৪
মুক্তিজোটের নামে প্রতারণা ঠেকাতে সিইসির হস্তক্ষেপ কামনা

ঢাকা: বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোটে) নাম ব্যবহার করে প্রতারণা ঠেকাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিবন্ধিত দলটির নেতারা।

সোমবার (১৩ মে) সিইসির কাছে এ বিষয়ে যৌথ চিঠি লিখেছেন দলটির সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও পরিচালনা বোর্ড প্রধান মো. শাহজামাল আমিরুল।

মুক্তিজোটের প্যাড, সিল ও সংগঠন প্রধানসহ পরিচালনা বোর্ড প্রধানের স্বাক্ষর জালকারীর তথ্য অবগতি প্রসঙ্গে লেখা ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নম্বর ৪১ ও প্রতীক ‘ছড়ি'। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছড়ি প্রতীকে ৬৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে।

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটকে কেন্দ্র করে কয়েকটি অনিবন্ধিত দল ও সামাজিক ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচনের আগে 'গণমুক্তিজোট' নামে একটি নির্বাচনী জোট গঠন করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকে ওই জোটের ৬৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। গণ মুক্তিজোট একটি নির্বাচনী জোট ছিল, নির্বাচন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্যক্রমও শেষ হয়ে যায়। কিন্তু জাতীয় লীগের সভাপতি ড.
শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ নিজেকে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পরিচয় দিচ্ছেন, নিজের মতো করে মুক্তিজোটের প্যাড ও সংগঠন প্রধানের সিল বানিয়ে বিভিন্ন চিঠি ইস্যু করছেন।

এছাড়া মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও পরিচালনা বোর্ড প্রধান মো. শাহজামাল আমিরুলের স্বাক্ষর ও সিল নকল করে সংগঠন প্রধানের উপদেষ্টা হিসেবে ভুয়া চিঠি সবাইকে দেখাচ্ছেন। এমনকি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস ও প্যাডের ঠিকানা ভুয়া প্যাডে পরিবর্তন করেছেন। ওই ভুয়া প্যাডে নিজেকে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান পরিচয় দিয়ে নকল করা সিল ও প্যাড ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশনে ভুয়া কমিটি জমা দিয়েছেন।

কোথাও সে নিজেকে সংগঠন প্রধান হিসেবে আবার কোথাও সংগঠন প্রধানের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন।

এদিকে সোনার বাংলা আন্দোলনের সমন্বয়ক- কাশেম মাসুদও একই চিঠিতে সংগঠন প্রধানের ভুয়া উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন এবং নির্বাচন কমিশনে তাদের দাখিলকৃত ভুয়া কমিটি গঠনের সভায় নিজেকে মিটিং-এর সভাপতি দাবি করেছেন।

উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিদ্বয় বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোটের)-এর কমিটিভুক্ত তো দূরের কথা প্রাথমিক সদস্যও না। তাই তারা যা করছে তা মুক্তিজোটের সঙ্গে জালিয়াতি ও প্রতারণা, যা মুক্তিজোটকে শুধু হেয় প্রতিপন্ন করাই না, মুক্তিজোটের সঙ্গে চরম প্রতারণা। প্রতারণার বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিতও হয়েছে।

চিঠিতে জালিয়াতকারী ও প্রতারকদের সম্পর্কে উল্লেখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছেন মুক্তিজোটের শীর্ষ দুই নেতা।

এ ঘটনায় সম্প্রতি রাজধানীর দারুস সালাম থানায় একটি সাধারণ ডায়রিও করা হয়েছে, যার নম্বর ১১৬৯।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৪
ইইউডি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।