নীলফামারী: পাটের ব্যবহার, উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ানোর ব্যাপারে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, আমরা পাটকল মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছি।
আমরা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি তারা যেন পাটকল মালিক, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পাটজাত পণ্যসমূহ সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে ‘বহুমুখী পাট পণ্য মেলা-২০২৪’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
মন্ত্রী আরও বলেন, কোনো কুচক্রী মোড়লের চোখ রাঙানোর কাছে মাথা নত করার পর্যায়ে বাংলাদেশ আর নেই। পোশাক শিল্প যেভাবে বিশ্ববাজার দখল করেছে। ঠিক সেভাবে পাট ও চামড়াজাত শিল্পকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার। এছাড়াও পাট পণ্যের হারোনো গৌরব ফেরাতে নানামুখী উদ্যোগের কথা জানান মন্ত্রী।
এর আগে মন্ত্রী রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রংপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও পাট অধিদপ্তর, জেডিপিসি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পাটখাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
সেখানে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জন করতে হবে। আমরা সুন্দর একটি পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি, একটি সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। এ জন্য পরিবেশকে দূষণ ও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে হবে। রাইস মিলার ভাইদের অনুরোধ করব, আপনারা শতভাগ পাটের তৈরি বস্তা ব্যবহার করুন। সামগ্রিক বিবেচনায় আপনারা লাভবান হবেন। চালের সঙ্গে আপনারা বস্তার দামও পেয়ে যাবেন এবং পেয়ে যাচ্ছেন। এসময় তিনি পাটকল মালিকদের ৫০ কেজির বস্তা ছাড়াও ২৫-৩০ কেজির বস্তা উৎপাদনের জন্য তাগিদ দেন।
এ অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল আউয়ালের সঞ্চালনায় ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বাবলু, রংপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য জাকির হোসেন সরকার, সংসদ সদস্য (সংরক্ষিত আসন) নাছিমা জামান ববি, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য (সংরক্ষিত আসন) অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অতিরিক্ত সচিব ও পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম প্রমুখ।
বিকেলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তাঁত পল্লি পরিদর্শনে এসে তাঁত মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এ সময় তাঁত মালিক ও শ্রমিকরাসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
এ সময় তিনি তাঁত মালিক ও শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাজারের প্রতিযোগিতায় আপনারা হেরে যাচ্ছেন। কারণ তিন দিন কষ্ট করে একটা শাড়ি তৈরি করেন। আর যারা সেমি অটো তাঁত চালায়, তারা এক দিনে তিনটা শাড়ি তৈরি করে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বাবলু, রংপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য জাকির হোসেন, নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল, রংপুর মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম, গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, গজঘণ্টা ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৪
আরএ