মুজিবনগরে দুই দিনের ব্যবধানে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৩০ জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর আগে রোববার (২৫ মে) ১৯ জনকে পুশ ইন করে বিএসএফ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর রাতে মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস সীমান্ত পিলার ১০১ কাগমারী মাঠ দিয়ে তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয় বিএসএফ।
তারা সীমান্ত পার হয়ে এলে আনন্দবাস বিওপি ক্যাম্পের টহলরত বিজিবি সদস্যরা আনন্দবাস ফাঁসিতলা মাঠ থেকে তাদের আটক করে। পরে তাদের মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আটকদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী ১২ জন শিশু নয়জন নারী ও নয়জন পুরুষ রয়েছে।
আটকরা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বর থানার টগরপাড়া গ্রামের আজহারুল ইসলামের ছেলে বজলে (৪০), তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩৫), মেয়ে মর্জিনা খাতুন (৯), মিম (৪), ছেলে রাসেল (২১) এবং ববিতা (১৫) নাতি ওবাইদুল (৮)।
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানার কাশিয়াবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে শাহানুর (২৯), তার স্ত্রী কল্পনা (২৭) এবং ছেলে নুর ইসলাম (৯)। কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার বালাসিপাড়া গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে ইচা আলী (৪৪) তার স্ত্রী আকলিমা বেগম (৪০), ছেলে আরিফ (১৯), ইব্রাহীম (১৫), ইসমাঈল (৮) এবং ছেলে আরিফের স্ত্রী সুমনা (১৫)।
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার নগরাজপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে আলিমুদ্দিন (৫৫), তার স্ত্রী আমিনা (৩৫), ছেলে আতিকুল (২৫), আতিকুলের স্ত্রী ইয়াসমিন (২০), ছেলে ইয়াসিন (৫), ইয়ানুর (২) এবং মেয়ে ফাতিমা (১)।
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার ঘোগারকুঠি গ্রামের বাটালের ছেলে হুজুর আলী (৪০), তার স্ত্রী মনিরা (৩৫), ছেলে মনির হোসেন (৭), মেয়ে আদুরি (৩), হালিমা (১৮) ও নাতি হামিম (২)।
পুশ ইন করা মানুষদের সঙ্গে কথা বললে জানায়, তারা বাংলাদেশের নাগরিক দীর্ঘ ১২/১৪ বছর আগে দালালের মাধ্যমে কাশিয়াবাড়ি সীমান্ত দিয়ে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে যান। এরপর থেকে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন এবং সেখানে বিভিন্ন ইটভাটায় কাজ করতেন।
ছয়-সাত দিন আগে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ বিভিন্ন এলাকার ইটভাটা থেকে তাদের আটক করে গাড়িতে করে নিয়ে এসে মঙ্গলবার ভোরে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার তদন্ত অফিসার জাকির হোসেন জানান, বিএফএস তাদের সীমান্তের কাঁটাতার পার করে দেয় পরে বিজিবি তাদের আটক করে মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করে। তারা এখন থানা হেফাজতে আছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএ