ঢাকা, শুক্রবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৪ মে ২০২৪, ১৫ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

আক্রোশে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বহিষ্কার করলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
আক্রোশে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বহিষ্কার করলেন ট্রাম্প ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রোশের শিকার হলেন স্যালি ইয়েটস

বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিবাসী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তার জারি করা নির্বাহী আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তিনি বহিষ্কার করে দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেলেকে।

স্থানীয় সময় সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল স্যালি ইয়েটস প্রেসিডেন্টের খামখেয়ালির বিরুদ্ধে কথা বলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা তাকে বহিষ্কার করা হয়।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিবের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রণীত একটি আইনি আদেশ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করে স্যালি বিচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। সেজন্য স্যালিকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ”

তার বদলে এখন ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করবেন ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব ভার্জিনিয়ার অ্যাটর্নি ডানা বোয়েন্টে।

স্যালি ইয়েটস দায়িত্ব পেয়েছিলেন ট্রাম্পের পূর্বসুরী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‍আমলে। বোয়েন্টেও নিয়োগ পেয়েছিলেন ওবামার আমলে। স্থায়ীভাবে অ্যাটর্নি জেনারেল পদে বসবেন ট্রাম্পের মনোনীত সিনেটর জেফ সেশন্স।  

এর আগে মুসলিমপ্রধান ৭টি দেশের অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রেসিডেন্টের জারি করা নির্বাহী আদেশ প্রসঙ্গে স্যালি এক চিঠিতে বলেন, “এটা আমার কাছে আইনসম্মত মনে হচ্ছে না। নির্বাহী আদেশটি রক্ষায় (বাস্তবায়নে) বিচার মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের যুক্তিতর্কে যাবে না। ”

এ নিয়ে বিচার মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের দেওয়া এক চিঠিতে ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল উল্লেখ করেন, এই আদেশটি ‍আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আমার দায়িত্ব এটা নিশ্চিত করা যে বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কেবল আইনি সহায়তা দেওয়া হয়, একইসঙ্গে আইনটা কী তাও নিজেদের সেরা বিবেচনা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া। ”

কিন্তু আনুগত্য না দেখানোয় তাকে শেষ পর্যন্ত বিদায় করে দিলেন ট্রাম্প।

দায়িত্ব নিয়েই একসপ্তাহ কারও কথা কানে না তুলে একের পর এক নির্বাহী আদেশ জারি করে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এসব আদেশের প্রেক্ষিতে এবার তিনি মুদ্রার ওপিঠ অর্থাৎ প্রতিক্রিয়াও দেখতে শুরু করেছেন। ভেতরে ভেতরে কূটনীতিকরা যেমন তার এসব খামখেয়ালি পদক্ষেপের মোক্ষম জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তেমনি আশপাশ থেকে সরে যাচ্ছেন সরকার-প্রশাসনের কর্মকর্তারাও। একেবারেই সরে যেতে হলো স্যালিকেও।

এদিকে, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের সমালোচনা করেছেন তার পূর্বসুরী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। তিনি বলেছেন, এই আদেশের ফলে আমেরিকার মূল্যবোধ ঝুঁকিতে পড়ে গেছে। ওবামা নির্বাহী আদেশটি প্রত্যাহারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রতিও তার সমর্থন জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
এইচএ/

আরও পড়ুন
** অ্যাটর্নির নির্দেশে বিচার মন্ত্রণালয়ও থাকছে না ট্রাম্পের পাশে​
** ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভে ওবামার সমর্থন

** ‘মেক আমেরিকা সিক অ্যাগেইন’
** ট্রাম্পের অভিবাসী নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রযুক্তিবিদরা
** পুতিনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপ ট্রাম্পের​
** ট্রাম্পের সমালোচনা, অভিবাসীদের কানাডায় স্বাগত ট্রুডোর​
** বাংলাদেশিদের যুক্তরাষ্ট্র না ছাড়ার পরামর্শ আইনজীবীদের
** ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার মেয়ররা
** ট্রাম্পের অভিবাসী নিষেধাজ্ঞা আদালতে স্থগিত

** অভিবাসী প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা অবৈধ
** শরণার্থী নিষেধাজ্ঞায় ট্রাম্পের সমালোচনা জুকারবার্গের
** শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।