ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভর্তি পরীক্ষা শেষে হুড়োহুড়ি, শিশুদের কান্না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
ভর্তি পরীক্ষা শেষে হুড়োহুড়ি, শিশুদের কান্না ভর্তি পরীক্ষা শেষে হুড়োহুড়ি। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বুধবার দুপুর সোয়া ১২টা। একটু আগেই অন্যান্য কেন্দ্রের মতো নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও শেষ হয়েছে ক ক্লাস্টারের ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির ভর্তি যুদ্ধ। এ সময় বিদ্যালয়ের মূল ফটক খুলে দিতেই একসঙ্গে বের হওয়ার চেষ্টা করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ফটকের বাইরে অবস্থানরত উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের খুঁজতে বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে চান। ফলে সৃষ্টি হয় হুড়োহুড়ি।

চট্টগ্রাম: বুধবার দুপুর সোয়া ১২টা। একটু আগেই অন্যান্য কেন্দ্রের মতো নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও শেষ হয়েছে ক ক্লাস্টারের ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির ভর্তি যুদ্ধ।

এ সময় বিদ্যালয়ের মূল ফটক খুলে দিতেই একসঙ্গে বের হওয়ার চেষ্টা করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ফটকের বাইরে অবস্থানরত উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের খুঁজতে বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে চান।
ফলে সৃষ্টি হয় হুড়োহুড়ি।

এসময় অনেক খুদে শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের না পেয়ে কান্না করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি সন্তানদের খুঁজে না পেয়ে অনেক অভিভাবকরাও এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।

অভিভাবকদের অভিযোগ ধীরে ধীরে ভর্তিচ্ছুদের বের না করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মূল ফটক খুলে দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

মনিকা চৌধুরী নামের এক ক্ষুব্ধ অভিভাবক বাংলানিউজকে বলেন, এক সঙ্গে সব শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি মূল ফটক খুলে না দিয়ে ফটকের ছোট দরজাটি খুলে একজন একজন করে বের করাতো তাহলে এই সমস্যা হতো না। ’

হুড়োহুড়ির কারণে বড় ধরণের বিপদ হতে পারতো মন্তব্য করে এই অভিভাবক আরও বলেন, ‘আমি আমার ভর্তিচ্ছু মেয়ে আদ্রিতাকে মূল ফটকের খুঁজে পাইনি। অনেকক্ষণ পরে সিনিয়রস ক্লাবের সামনে তাকে কান্নারত অবস্থায় খুঁজে পাই। ভবিষ্যতে যাতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে নজর রাখে। ’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে  ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসমত আরা বাংলানিউজকে বলেন, ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া, তাদের ছেলে মেয়েদের নিতে ভিড় করেছে। অন্যকোন সমস্যা হয় নি। তবে কয়েকজন ভর্তি পরীক্ষা অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবককে না পেয়ে কান্নাকাটি করেছে বলে জানান।

ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজের ৩ হাজার ২৬৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে বলেন, ডা. খাস্তগীর স্কুল কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় শান্তি শৃঙ্খলায় পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে রয়েছেন। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা বের হওয়ার সময় একটু হুড়োহুড়ি হয়েছিল। পরে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬

এসবি/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।