দিল্লিতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দেখালো স্পষ্ট ব্যাটিং উন্নতি। জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপের শতকে ভারতকে বেশ ভুগিয়েছে ক্যারিবীয়রা।
চতুর্থ দিনের সকালেই ভারতের আশা ছিল দ্রুত উইকেট তোলার, কিন্তু ক্যাম্পবেল ও হোপের দৃঢ়তায় তা সম্ভব হয়নি। সমতল পিচে বুমরাহর রিভার্স সুইং চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ৯০ ছুঁয়ে দীর্ঘক্ষণ থমকে থাকা ক্যাম্পবেল অবশেষে রবীন্দ্র জাদেজাকে ছক্কা মেরে তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। তবে বিরতির পর রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন তিনি (১১৫)।
হোপের ব্যাটও তখন সমান দৃঢ়। ৫৮ ইনিংস পর তিনি তুলে নেন নিজের শতক, দলকে লাঞ্চে নিয়ে যান ২৫২/৩ তে। নতুন বল নেওয়ার পরও ভারতের সাফল্য আসে না, কিন্তু হঠাৎই এক নিচু লেন্থ বল ব্যাটে লেগে স্টাম্পে ফিরিয়ে দেন হোপ (১০৩)।
তৃতীয় সেশনে আক্রমণে এসে কুলদীপ যাদব আবারও ছন্দে ফিরলেন। প্রথম ইনিংসের পাঁচ উইকেটের পর এবারও নিলেন তিনটি। টেভিন ইমলাককে (১২) এলবিডব্লিউ করার পর তিনি ফেরান রস্টন চেজকেও (৪০)। অপরদিকে বুমরাহ ইনসুইঙ্গারে ভেঙে দেন জোমেল ওয়ারিকানের স্টাম্প, পরে অ্যান্ডারসন ফিলিপের (২) সূক্ষ্ম এজ তুলে দেন উইকেটকিপার জুরেলকে।
শেষদিকে লড়াই দেখান গ্রিভস (৫০*) ও সিলস (৩২), শেষ উইকেটে তারা যোগ করেন ৭৯ রান। অবশেষে সিলস ওয়াশিংটন সুন্দরকে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন, ইনিংস থামে ৩৯০ রানে। ভারতের বোলাররা তখন ইতিমধ্যে ১১৮.৫ ওভার বল করেছেন, যা ২০২৩ সালের আহমেদাবাদ টেস্টের পর টেস্টে এক ইনিংসে ভারতের সবচেয়ে বেশি ওভার।
১২১ রানের সহজ লক্ষ্য নিয়ে দিনের শেষ ভাগে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। যশস্বী জয়সওয়াল দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় দ্বিতীয় ওভারেই লং অনে ক্যাচ দেন (৮)। এরপর কেএল রাহুল ও সাই সুদর্শন দায়িত্ব নিয়ে খেলেন। দিনের শেষে ভারতের সংগ্রহ ৬৩/১; জয়ের জন্য বাকি মাত্র ৫৮ রান এবং ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় এখন সময়ের অপেক্ষা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ৫১৮/৫ ডিক্লে. (জয়সওয়াল ১৭৫, শুবমন গিল ১২৯*, সাই সুদর্শন ৮৭; ওয়ারিকান ৩-৯৮) ও ৬৩/১
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৪৮ ও ৩৯০ (জন ক্যাম্পবেল ১১৫, শাই হোপ ১০৩, জাস্টিন গ্রিভস ৫০; বুমরাহ ৩-৪৪, কুলদীপ ৩-১০৪)
অবস্থা: ভারত ৫৮ রানে এগিয়ে, হাতে ৯ উইকেট
এমএইচএম