ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাবি-শাহবাগে স্বাভাবিক যান চলাচল

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৮
ঢাবি-শাহবাগে স্বাভাবিক যান চলাচল ঢাবির টিএসসি এলাকায় সকাল থেকে স্বাভাবিক যান চলাচল। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রোববার (৮ এপ্রিল) রাতভর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস ও শাহবাগ এলাকায় সংঘাতের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ।

রাতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, উপাচার্যের বাসভবনে হামলা-ভাঙচুর ও সামনে রাখা যানবাহনে অগ্নিসংযোগের পর সোমবার (৯ এপ্রিল) সকালেও গোটা এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। তবে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

সকালে শাহবাগ ও ঢাবি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কের এখানে-ওখানে এবং উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সংঘাতের চিহ্ন ইট-পাটকেল পড়ে রয়েছে। তবে এরমধ্যেই সকাল থেকে কর্মস্থলগামী মানুষ চলছেন গন্তব্যে।  

আরও পড়ুন
** হত্যার উদ্দেশ্যে ‘প্রশিক্ষিত গোষ্ঠীর’ হামলা: ঢাবি ভিসি
** টিএসসি থেকে দোয়েলচত্বরে আন্দোলনকারীরা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ
** হামলাকারীরা ছাত্র হতে পারে না, বহিরাগত: ঢাবি ভিসি
** আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান
** স্লোগান মুখর শাহবাগ-টিএসসি, পুলিশের টিয়ারশেল
** শাহবাগে থেমে থেমে সংঘর্ষ, টিয়ারশেল-রাবার বুলেটে আহত ৩০
** সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা
** শাহবাগে কাঁদানে গ্যাস: প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ খুলনায়
** কোটা সংস্কার দাবি: আন্দোলনকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস
** সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত কোটা সংস্কারের আন্দোলন
** আন্দোলনকারীদের ফুল উপেক্ষা করে সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ
** কোটা পদ্ধতির সংস্কার চেয়ে শাহবাগে অবরোধ
** কোটা পদ্ধতির সংস্কার চেয়ে শিক্ষার্থীদের গণপদযাত্রা


শাহবাগ মোড়, টিএসসি ও দোয়েল চত্বর এলাকায় দেখা যায়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্যের উপস্থিতি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দেখা যায় সাঁজোয়া যানও।

তবে বিকেল থেকে ভোর পর্যন্ত রাস্তায় থাকা আন্দোলনকারীদের সকালে দেখা যায়নি। তাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগও করা হয়নি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে রোববার বিকেলে গণপদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করে ঢাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), ঢাকা কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা অবরোধ করে শাহবাগ মোড়। রাস্তা থেকে তাদের হটিয়ে দিতে রাতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এসময় বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হন।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে মধ্যরাতেই রাস্তায় নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ছাত্রীরা। এতে উত্তাল হয়ে পড়ে গোটা ক্যাম্পাস। এসময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক শাহবাগে এসে সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন।

কিন্তু এরমধ্যেই ঢাবি ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবনে ওই হামলা চালানো হয়। সেসময় দু’টি মাইক্রোবাস ও মসজিদের সামনে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগও করা হয়। পরে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দিতে আরও কড়া অবস্থানে যায় পুলিশ। আন্দোলনকারীরা দোয়েল চত্বরে অবস্থান নিলে সেখান থেকেও তাদের হটিয়ে দেওয়া হয়। সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিরুদ্ধে মিছিল করে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ।

নিজের বাসভবনে হামলার বিষয়ে উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, গতকাল রাতে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট নয়, একটি প্রশিক্ষিত ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লাশের রাজনীতির জন্য এ তাণ্ডব চালিয়েছে। এই হামলা স্বাভাবিক নয়। হত্যার উদ্দেশেই হামলাটি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮/আপডেট ১০৪৯ ঘণ্টা
পিএম/এমএসি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad