অবশেষে সেই চিরচেনা ছবি। ভারতীয়দের উল্লাস, পাকিস্তানিদের আক্ষেপ।
টস হেরে ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান (৫৭) আর ফখর জামান (৪৬) ভারতীয় বোলারদের চাপে রেখেছিলেন। মনে হচ্ছিল বড় স্কোর গড়বে তারা। কিন্তু মিডল অর্ডারের ভাঙনেই সব শেষ! ১৪ রান করা সাইম আয়ুব ছাড়া বাকিদের কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৯.১ ওভারে ১৪৬ রানে।
ভারতের বোলাররা ছিলেন দুর্দান্ত। কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণি তাণ্ডবে ৪ উইকেট, অক্ষর ও বরুণের শিকার ২টি করে উইকেট, বুমরাহ নিয়েছেনও ২ উইকেট। প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দিতে এভাবেই সম্মিলিত সাফল্য এনে দেন তারা।
জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ১৪৭ রান। শুরুতে শর্মা, গিল আর সুর্যকুমার ব্যর্থ হয়ে ম্যাচে ফেরার সুযোগ দিয়েছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান তিলক ভার্মা। ৫৩ বলে ৬৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। সঙ্গ দেন সঞ্জু স্যামসন (২৪) ও শিবম দুবে (৩৩)। শেষ পর্যন্ত রিংকু সিংয়ের চারে ১৯.৪ ওভারে ১৫০ রানে পৌঁছে যায় ভারত, হাতে থাকে ৫ উইকেট।
শেষ ওভারের আগেও পাকিস্তান দল আশা দেখিয়েছিল। কিন্তু ভারতের ব্যাটিং ও দৃঢ়তায় সব ভেস্তে গেল। ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে হতাশাই উপহার দিয়েছে ভারত।
এফবি