ঢাকা, রবিবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

জেলে শূন্য পদ্মা-মেঘনা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪৫, অক্টোবর ৪, ২০২৫
জেলে শূন্য পদ্মা-মেঘনা জেলে শূন্য পদ্মা-মেঘনা

প্রজনন রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির ফলে নদী এখন জেলে শূন্য।

শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মেঘনা উপকূলীয় চাঁদপুর সদরের লালপুর, কল্যাণপুর, আনন্দ বাজার, বড় স্টেশন যমুনা রোড, টিলাবাড়ী, পুরান বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, রামদাসদী, বহরিয়া ও হরিণা ফেরিঘাট ঘুরে দেখা গেছে, নদীতে নেই কোনো জেলে নৌকা। তবে যাত্রী ও মালবাহী অন্যান্য নৌযান চলাচল করছে।

সদরের আনন্দ বাজার এলাকায় জেলেরা নৌকা ডাঙ্গায় উঠিয়ে রেখেছেন। জেলা শহরের লঞ্চঘাট সংলগ্ন টিলাবাড়ী এলাকায় খালের মধ্যে কারেন্টজালসহ কিছু নৌকা দেখা গেছে।

আনন্দ বাজারের জেলে ইসমাইল হোসেন বলেন, গত দুদিন আগেই আমরা নৌকা ও জাল ডাঙ্গায় উঠিয়ে রেখেছি। ভরা মৌসুমে নদীতে ইলিশও পাওয়া যায়নি।  

একই এলাকার জেলে মনির হোসেন বলেন, প্রকৃত জেলেরা মা ইলিশ ধরে না। আমরা নিষেধাজ্ঞা মেনে এখন অবসর আছি। তবে কিছু মৌসুমি জেলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইলিশ ধরে থাকেন।  

লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের কোটারাবাদ এলাকার জেলে ইসমাইল মোল্লা বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে চলি। কিন্তু সংসার তো চলে না। তাই সরকারি সহায়তা আরও বাড়ানো দরকার।



হরিণা ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী আবুল কাশেম কালু হাওলাদার বলেন, আমাদের আড়তগুলো বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত ১০টার পর বন্ধ করে দিয়েছি। আগামী ২২ দিন অবসর সময় কাটাতে হবে।  

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক জানান, টাস্কফোর্স নদীতে অভিযান শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেননি। সবার সহযোগিতা থাকলে মা ইলিশের প্রজনন রক্ষা সম্ভব হবে।

নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন আমরা জেলে পাড়ায় গিয়ে মা ইলিশ না ধরার বিষয়ে সচেতন করেছি। তারপরও কেউ আইন অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনার প্রায় ৭০ কিলোমিটার নদী অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়ে আইন ভঙ্গ করলে মৎস্য আইনে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।