যশোর: বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল যশোর জেলার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের যে দাবি করেছিলেন তার শুনানি সোমবার (২৫ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে, সুকৃতি কুমার মন্ডল সেই শুনানিতে অংশ নিতে পারেননি।
একই দিন যশোর-৩ সংসদীয় আসন নিয়ে আরো একটি আবেদনের শুনানি সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুকৃতি মণ্ডল নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সঠিক সময়েই উপস্থিত হয়েছিলেন দাবি করে বলেছেন, অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি শুনানিতে অংশ নিতে পারেননি।
যশোরের অভয়নগর উপজেলা, মণিরামপুর উপজেলার ছয়টি এবং কেশবপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে যশোর-৬ সংসদীয় আসন গঠনের দাবি কওে সুকৃতি কুমার মণ্ডল গত ১৯ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন।
বর্তমানে যশোর-৬ আসন গঠিত শুধু কেশবপুর উপজেলা নিয়ে। আর অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা এবং সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে যশোর-৪ আসন গঠিত। এছাড়া যশোর-৫ আসনের অন্তর্ভুক্ত গোটা মণিরামপুর উপজেলা।
অভয়নগরের ভোটার সুকৃতি মণ্ডলের আসন পুনর্বিন্যাসের আবেদন উত্থাপনের খবর প্রকাশ হলে যশোরে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল- বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। তারা গণমিছিল, সমাবেশ, নির্বাচন অফিস ঘেরাও, নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের মতো কর্মসূচি পালন করে।
খুলনা বিভাগের কয়েকটি আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের ব্যাপারে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুনানি শুরু হয় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে। সেখানে বেলা সোয়া ১১টার দিকে যশোর জেলার আবেদনকারীদের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক শুরু হয়। কিন্তু সুকৃতি মণ্ডলের দেওয়া আবেদনের শুনানিকালে সেখানে তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
সুকৃতি কুমার মন্ডলের নাম্বারে যশোর থেকে যোগাযোগ করা হলে অন্য একজন রিসিভ করে সাংবাদিকদের বলেন, সুকৃতি মণ্ডল নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সময়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে শুনানিতে অংশ নিতে পারেননি। পরে তার পক্ষে দুই ব্যক্তি লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন।
সোমবার শুনানিতে হাজির ছিলেন যশোর-৬ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ। তিনি বলেন, সুকৃতি মণ্ডলের পক্ষে কেউ উপস্থিত না থাকায় একতরফা শুনানি হয়।
অ্যাডভোকেট মো. নূরুজ্জামান নামে আরেক ব্যক্তি যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নকে যশোর-৩ (সদর) আসনে অন্তর্ভুক্ত করার যে আবেদন করেছিলেন তার শুনানিও সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, শুনানির পর আশা করা যায়, যশোরের আসনগুলো যেভাবে বিদ্যমান রয়েছে, সেভাবেই থাকবে।
এদিকে, শুনানিকে কেন্দ্র করে যশোর বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনসমূহের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান করেন। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
এসএইচ