যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদকে সদস্য করার প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক-বর্তমান খেলোয়াড়রা।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে তারা জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, কাজী ইনাম পূর্বে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তার কার্যক্রম ক্রীড়া উন্নয়নের চেয়ে বাধা সৃষ্টি করেছে বেশি। তাদের দাবি, স্টেডিয়ামে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে।
প্রতিবাদকারীরা প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে এবং কার সুপারিশে তাকে অ্যাডহক কমিটির সদস্য করা হলো। অভিযোগ করা হয়, ব্যক্তি স্বার্থে কাজী ইনাম সংস্থাকে ব্যবহার করেছেন, যা বর্তমান ক্রীড়াঙ্গনের অচলাবস্থা আরও জটিল করে তুলবে।
তারা বলেন, গত ১৪ বছর ধরে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থা অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কাজী ইনামের মতো বিতর্কিত ব্যক্তিকে যুক্ত করা হলে সংগঠনের ভেতরে বিভাজন ও অনৈক্য আরও বাড়বে।
স্মারকলিপিতে আরও অভিযোগ করা হয়, বিনা ভোটে সংসদ সদস্য হওয়া কাজী নাবিল আহমেদের ভাই হওয়ার সুবাদে ইনাম অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে কিছু সুবিধাভোগী ও দুর্নীতিপরায়ণ সংগঠকদের নিয়ে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। এতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়েছিল এবং অনেক সংগঠক ও খেলোয়াড় মাঠ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাহতাব নাসির পলাশ বলেন, ‘যতদিন কাজী ইনামকে কমিটি থেকে প্রত্যাহার করা না হবে, আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সব কার্যক্রম স্থগিত করা হবে। ’
তিনি আরও জানান, এই দাবিতে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামের আমেনা খাতুন গ্যালারির নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন—সাবেক জাতীয় ফুটবলার সৈয়দ মাশুক সাথী, সাবেক ক্রিকেটার মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, মোস্তাক নাসির টনি, খান শফিক রতন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহ-সভাপতি মির্জা আখিরুজ্জামান সান্টু, সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি এ বি এম আখতারুজ্জামান, ক্রীড়া সংগঠক হিমাদ্রী সাহা মনি ও শহিদ হোসেন লাল বাবু।
এমএইচএম