ঢাকা, সোমবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩২, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

দুই স্ত্রী হত্যায় দ্বিতীয়বার ফাঁসির দণ্ড স্বামীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩০, অক্টোবর ৫, ২০২৫
দুই স্ত্রী হত্যায় দ্বিতীয়বার ফাঁসির দণ্ড স্বামীর দ্বিতীয়বার ফাঁসির দণ্ড সোহরাব হোসেন আকন।

বরিশাল: বরিশালে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যা করে লাশ গুমের দায়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে স্বামী।

রোববার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মুহা. রকিবুল ইসলাম ওই দণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত সোহরাব হোসেন আকন (৪৫) মুলাদী উপজেলার তয়কা গ্রামের লাল মিয়া আকনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সোহরাব।

বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, এর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা মিলি বেগমকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়ার মামলায় তাকে বরিশালের একটি আদালত ফাঁসির রায় দিয়েছিলো। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চাদালতে আপিল করে। উচ্চাদালত ফাঁসির রায়ের পরিবর্তে যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়।

যৌতুকের দাবিতে তৃতীয় স্ত্রী লিমা বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করার দায়ে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক তাকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও লাশ গুম করায় আরো ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মামলার বরাতে ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি মোখলেচুর রহমান বাচ্চু বলেন, মুলাদী উপজেলার তেরচর গ্রামের বাসিন্দা হোচেন পাটোয়ারীর কন্যা লিমা বেগমের সঙ্গে ফেরদৌস নামে একজনের বিয়ে হয়। স্বামীকে নিয়ে লিমা বাবারবাড়ি থাকতেন। ওই বাড়িতে সোহরাব হোসেন আসা যাওয়া করতো। তিনি ফেরদৌসকে হত্যার হুমকি দিয়ে লিমাকে তালাক দিতে বাধ্য করে। পরে তাকে সোহরাব হোসেন বিয়ে করে। বিয়ে করার পর দুই লাখ টাকা যৌতুকে দাবিতে বোন লিমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর সোহরাব বাবারবাড়ি এসে যৌতুকের টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে লিমাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তখন পাশের কক্ষে থাকা ছোট ভাই গিয়ে দেখতে পায় বোন অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তখন তাকে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার কথা বলে নিয়ে বের হয়। এরপর থেকে আর বোনকে খুঁজে পায়নি। এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি সোহরাব ও তার মাকে আসামিকে করে মুলাদী থানায় হত্যা এবং লাশ গুমের অভিযোগে বোন ডলি বেগম মামলা করে। মুলাদী থানার এসআই মো. জুবায়ের ২০১৪ সালের ১০ মে একমাত্র সোহরাব হোসেন আকনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। বিচারক ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে রায় দিয়েছেন।

পিপি বাচ্চু আরও জানান, এর আগে ২০০৯ সালে যৌতুকের দাবিতে তার দ্বিতীয় স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা মিলি বেগমকে লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে। ওই মামলায় তাকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

এমএস/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।