যশোরে শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সমর্থক ফরম পূরণের অভিযোগ উঠেছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রগতি আদর্শ মাদরাসার অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলামের সহযোগিতায় শিশুদের জোরপূর্বক এই ফরম পূরণ করানো হয়েছে।
অভিভাবকরা জানান, ইসলামী ছাত্রশিবির সদস্য সংগ্রহের উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রগতি মাদরাসায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের আড়ালে কৌশলে শিশু শিক্ষার্থীদের শিবির সমর্থক ফরম পূরণে বাধ্য করা হয়।
প্রগতি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়ান বিন হাবিব জানায়, সে রাজনীতি বা ছাত্রশিবির সম্পর্কে কিছুই জানে না। কয়েকজন তার কাছে এসে পরিবারের তথ্য নেয় এবং একটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
শিক্ষার্থী আয়ানের বাবা ও সজাগ যশোরের নির্বাহী সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, সম্পূর্ণ প্রতারণার মাধ্যমে আমার ছেলেকে শিবির বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বয়সে সে রাজনীতি বোঝে না। পড়াশোনার জন্য ছেলেকে মাদরাসায় দেওয়া হয়েছে, অথচ তারা এ বয়সে তাকে রাজনীতিতে জড়াচ্ছে। তিনি মাদরাসার অধ্যক্ষের জড়িত থাকার অভিযোগও করেন।
এ বিষয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির যশোর জেলা সভাপতি আহমদ ইব্রাহিম শামীম গণমাধ্যমকে বলেন, তৃতীয় শ্রেণির শিশুদের ফরম পূরণ করানোর কোনো সাংগঠনিক নিয়ম নেই। কেন বা কারা করেছে, এই মুহূর্তে বিষয়টি জানা নেই।
প্রগতি মাদরাসার অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলামের কাছে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল হেলাল আল মামুন জানান, তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের একটি কালচারাল প্রোগ্রাম ছিল। সেই প্রোগ্রামে শিবিরের ছাত্রনেতারা শিক্ষার্থীদের দিয়ে এই ফরম পূরণ করান। অনুষ্ঠানে ছাত্রশিবিরের জুবায়ের হোসেন, রিজওয়ান হাসানসহ বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে, ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, কি হচ্ছে এসব, এ কেমন রাজনীতি?
এমজে