ঢাকা, শনিবার, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৭ জুন ২০২৫, ১০ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

খুলনায় ঈদের জামাতে মুসল্লিদের ঢল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:৪৮, জুন ৭, ২০২৫
খুলনায় ঈদের জামাতে মুসল্লিদের ঢল

খুলনা: বৈরী আবহাওয়ার কারণে খুলনায় পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে একই স্থানে পৃথক সময়ে আরও দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান জামাতে ইমামতি করেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহম্মদ সালেহ। প্রধান জামাতে মসজিদের ভেতর ও বাইরে হাজারও মুসল্লি অংশ নেন।

শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে সার্কিট হাউস ময়দানে নামাজ পড়ার পরিবেশ না থাকায় টাউন জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।  

এ ছাড়া শনিবার সকাল ৭টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনা আলিরা মাদরাসা সংলগ্ন মডেল মসজিদে ঈদের জামাত সকাল ৭টায় ও সরকারি বিএল কলেজ ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়।

নগরীর ময়লাপোতা বায়তুল আমান জামে মসজিদে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত সকাল ৭টায় ও দ্বিতীয় জামাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল সাড়ে ৬টায় নিরালা তাবলীগ মসজিদে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর ইকবাল নগর জামে মসজিদে সকাল ৭টায় একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। রূপসা স্ট্যান্ড রোডস্থ বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং রূপসা ফেরিঘাটস্থ হযরত আবু বক্কর সিদ্দিকী (রা.) জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

নগরীর সোনাডাঙ্গা হাফিজ নগর মসজিদে আমানাতে সকাল ৭টায় ঈদের  জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনায় আহলে হাদিস সংগঠনের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় শহীদ হাদিস পার্কে সকাল ৭টায়। নগরীর দৌলতপুর থানাধীন পাবলা আহলে হাদিস জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। এ ছাড়া খুলনার আড়ংঘাটা এলাকার আহলে হাদিস জামে মসজিদ ঈদগাহে সকাল ৬টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়। ‘বালা মুসিবত’ থেকে সুরক্ষা চাওয়া হয় আল্লাহর কাছে।

এ ছাড়া ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের জন্য দোয়া, আহতদের আশু সুস্থতা কামনা, গাজাসহ ফিলিস্তিনের অন্যান্য স্থানে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর সাম্প্রতিক বর্বরোচিত হামলায় নিহতদের আত্মার শান্তি এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

পরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।

এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।