ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২, ১২ মে ২০২৫, ১৪ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

খাগড়াছড়িতে নানা আয়োজনে বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৩৫, মে ১১, ২০২৫
খাগড়াছড়িতে নানা আয়োজনে বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালিত

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আধ্যাত্মিক পরিবেশে পালিত হচ্ছে বৌদ্ধ পূর্ণিমা।  

রোববার (১১মে) বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সকাল থেকেই বিহারগুলোতে ভিড় করেন নানা বয়সী বৌদ্ধ নারী-পুরুষ পুণ্যার্থীরা।

ভোরে বুদ্ধ পূজার মাধ্যমে শুরু হয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা। এছাড়া বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।

পুণ্যার্থীরা এদিন বুদ্ধের জন্ম, বোধিপ্রাপ্তি ও মহাপরিনির্বাণের মাহাত্ম্য স্মরণে অংশ নিচ্ছেন নানান ধর্মীয় কর্মসূচিতে। এর মধ্যে রয়েছে প্রদীপ প্রজ্বালন, পঞ্চশীল গ্রহণ, অষ্টশীল পালন, ধর্মদেশনা, ভিক্ষু সংঘকে দান ও সংগীত পরিবেশনা।

খাগড়াছড়ি য়ংড বৌদ্ধ বিহারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, বিহার অধ্যক্ষ, ভিক্ষু সংঘসহ কয়েকশত পুণ্যার্থী।  

অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ব শান্তি ও সব প্রাণীর মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা ও সমবেত প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় পুণ্যার্থীরা জানান, প্রতি বছর এদিনটি আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা শান্তি, মৈত্রী ও সহমর্মিতার বার্তা নিয়ে এ উৎসব উদযাপন করি।

খাগড়াছড়ি য়ংড বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ক্ষেমাসেরা মহাথের জানান, আজ বুদ্ধের ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত দিন। এদিন সব বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের একটি বিশেষ দিন। এদিনটির স্মরণে আজকে বিহারে পুণ্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, বিকেলে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজন করা হবে, যা বিহার থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করবে। শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন বৌদ্ধ ভিক্ষু, ধর্মীয় অনুসারী এবং নানা বয়সের পুণ্যার্থী।

এছাড়াও সন্ধ্যায় আয়োজন করা হবে ফানুস উত্তোলনের। শত শত আলোকিত ফানুস আকাশে উড়ে বৌদ্ধ পূর্ণিমার শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেবে।

এডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।