ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চাঁদপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

জমির মূল্য ২০ গুণ বেশি দেখিয়েছেন সেলিম খান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
জমির মূল্য ২০ গুণ বেশি দেখিয়েছেন সেলিম খান

ঢাকা: চাঁদপুরে প্রস্তাবিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে কারসাজি ও মেঘনা-পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেছিলেন চাঁদপুর জেলার লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে চাঁদপুর জেলার লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের অগাধ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চাঁদপুরে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করেছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে সরকার নির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি মূল্য দেখিয়ে ১৩৯টি উচ্চমূল্যের দলিল কারসাজির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৩৬০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির ষড়যন্ত্র এবং মেঘনা নদীতে প্রায় ২০০ ড্রেজার দিয়ে দিন-রাত নির্বিচারে বালু উত্তোলন করে অননুমোদিতভাবে বিক্রি করে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে অগাধ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে উদঘাটিত দুর্নীতির আর্থিক মূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা।

দুদক সচিব জানান, বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গৃহীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৬ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাৎ এর নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ ও মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়।

এছাড়াও জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা রেজিস্ট্রার, জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা ও তথ্যাদি সংগ্রহ করেছেন অভিযান পরিচালনাকারীরা। এরপর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে চাঁদপুর-হাইমচর রাস্তা সংলগ্ন প্রস্তাবিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণ এলাকা এবং মেঘনা নদী হতে নির্বিচারে বালু উত্তোলন এলাকা পরিদর্শন করা হয়।

সরেজমিন পরিদর্শন ও সংগৃহীত যাবতীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় বিষয়োক্ত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে, যা প্রতিবেদন আকারে কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান দুদক সচিব।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।