ঢাকা: মালয়েশিয়ায় সাবাহ প্রদেশের রাজধানী কোটাকিনাবালুতে সাবাব ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড এক্সপো ২০২৫ - শীর্ষক মেলায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। শুক্রবার থেকে রোববার (২৬-২৮) সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এ মেলা আয়োজন করেছে ফেডারেশন অব সাবাহ ইন্ডাস্ট্রিজ।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবাহ রাজ্যের ডেপুটি চিফ মিনিস্টার কাম ওয়ার্কস মিনিস্টার দাতুক সাহেলমি ইয়াহিয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানের বুথ পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ এর বুথে অতিথিবৃন্দকে স্বাগত জানান ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোসাম্মাত শাহানারা মনিকা। এ সময় তিনি বুথে প্রদর্শিত বাংলাদেশের বিভিন্ন রপ্তানিযোগ্য পণ্য সম্পর্কে উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন এবং সাবাহ রাজ্যে বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ পণ্যসামগ্রীর বাজার সম্প্রসারণে রাজ্য সরকারের সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানান। ডেপুটি চিফ মিনিস্টার কাম ওয়ার্কস মিনিস্টার দাতুক সাহেলমি ইয়াহিয়া এ মেলায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মেলার অর্গানাইজিং চেয়ারম্যান দাতুক রিচার্ড লিম আয়োজককারী প্রতিষ্ঠান ফেডারেশন অব সাবাহ ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর প্রেসিডেন্ট নাটালি ফুংসহ রাজ্যসরকারের সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা, ব্যবসায়ী চেম্বারের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ হাইকমিশন এর কাউন্সিলর (কনস্যুলার) মো. মোরশেদ আলম, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ, তৃতীয় সচিব (রাজনৈতিক) মো. তানজিম হোসেন প্রমুখ।
মেলার দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোসাম্মাত শাহানারা মনিকা ফেডারেশন অব সাবাহ ইন্ড্রাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট নাটালি ফুং, সদ্য স্যাবেক প্রেসিডেন্ট দাতুক রিচার্ড লিমসহ ফেডারেশন এর অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করেন এবং সাবাহ অঞ্চলে বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে তাদের সহযোগিতার অনুরোধ জানান। এছাড়াও তিনি ফেডারেশনকে নিকট ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশ সফরের অনুরোধ জানালে তারা এ বিষয়ে তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাদ্য ও পানীয়, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিকস সামগ্রী, প্লাস্টিকপণ্য, তৈরি পোশাক এবং অন্যান্য রপ্তানিযোগ্য পণ্য 'বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে' প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সাবাহ রাজ্যসহ পূর্বাঞ্চলে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
টিআর/জেএইচ