ঢাকা, শনিবার, ১১ আশ্বিন ১৪৩২, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

জাতিসংঘে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবি তুললেন ইউনূস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:০৩, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫
জাতিসংঘে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবি তুললেন ইউনূস অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বৈশ্বিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিগুলো পুনরুজ্জীবিত করার এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সংস্থাটির ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি এ ভাষণ দেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা সময়ের সঙ্গে দুর্বল হয়ে পড়া বৈশ্বিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছি।

একইসঙ্গে আমরা পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের যে অধিকার প্রতিটি দেশের রয়েছে তার প্রতি সমর্থনের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে আমরা বাস করি। বিশ্বের আর কোনো অঞ্চলেই এতসংখ্যক পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র এত অল্প দূরত্বে অবস্থান করছে না। তাই নিরস্ত্রীকরণ ও পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তাররোধের গুরুত্ব আমরা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে, আমাদের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার আগেই, এই বছর, আমরা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার আওতাধীন পারমাণবিক নিরাপত্তা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত যৌথ কনভেনশন-এ যোগদান করেছি। এই যোগদানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ মানের পারমাণবিক নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার প্রতি আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।

সারাবিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের চলমান সংঘাতের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ বিশ্বব্যাপী ১২০টিরও বেশি সশস্ত্র সংঘাত চলছে— পারস্পরিক অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা ভেঙে গেলে এ রকম সংঘাত আরও বাড়বে, ব্যাহত হবে উন্নয়ন, বিনষ্ট হবে বিশ্ব শান্তি।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শুধু মিয়ানমার নয়, এ বছর, আমরা পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই সংঘাত প্রত্যক্ষ করেছি— ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে।

এমইউএম/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।