ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

রাজনীতি

পিআর পদ্ধতিতেই আগামী নির্বাচন দিতে হবে: চরমোনাই পীর 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০৫, অক্টোবর ১০, ২০২৫
পিআর পদ্ধতিতেই আগামী নির্বাচন দিতে হবে: চরমোনাই পীর  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ( চরমোনাই পীর) বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সুষ্ঠু প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতে হবে। বর্তমান সংখ্যাগরিষ্ঠতাভিত্তিক নির্বাচনী পদ্ধতিতে জনগণের প্রকৃত মতামত সংসদে প্রতিফলিত হয় না।

এর ফলে জাতীয় রাজনীতিতে বৈষম্য, অস্থিরতা ও অন্যায় প্রভাব বিস্তার পায়।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, শ্রমিকবান্ধব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বর্তমানে দেশে ইসলামকে ক্ষমতায় আনার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা জরুরি।

চরমোনাই পীর আরও বলেন, জনগণের ভোটের অনুপাতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসন বণ্টনই গণতান্ত্রিক ও ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতি। এতে ভোটের মূল্য সংরক্ষিত থাকবে, ছোট ও নতুন রাজনৈতিক দলগুলোও প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পাবে এবং জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই পিআর পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এখন সময় এসেছে এই দাবিকে জাতীয় ঐক্যের প্ল্যাটফর্মে রূপ দেওয়ার। নির্বাচনী সংস্কারের অংশ হিসেবে অবিলম্বে পিআর পদ্ধতি প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, প্রতিনিধিত্বশীল, শান্তিপূর্ণ ও শ্রমিকবান্ধব রাজনৈতিক সংস্কৃতি চাই। সেই পথের একমাত্র সমাধান হলো পিআর ভিত্তিক নির্বাচন।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)।  

তিনি বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া কখনোই শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র গঠন করতে চায় যেখানে মানুষ ও কুকুর খাদ্যের জন্য লড়াই করবে না, মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব থাকবে না, সবাই মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র সহসভাপতি হাফেজ সিদ্দিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল কে এম বিল্লাল হোসাইন, যুগ্ম সেক্রেটারি জেনারেল এইচ এম রফিকুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহম্মেদ।

টিএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ