ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জাগপা ছাত্রলীগের গোলটেবিল বৈঠকে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা বলেছেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হলে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ও নতুন প্রজন্ম ঝুঁকিতে পড়বে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা ও সার্বভৌমত্ব মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে পল্টনে মরহুম শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে জাগপা ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, গণহত্যার বিচার ও জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দল নিষিদ্ধের দাবি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন।
জাগপা ছাত্রলীগের গোলটেবিল বৈঠক শেষে চা-চক্রে আড্ডায় বসে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, আমাদের দ্বন্দ্বের কারণে ফ্যাসিবাদীরা আবারও মানসিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। আমরা ১৭ বছর সংগ্রাম করে এ দেশ থেকে ফ্যাসিবাদকে বিদায় করেছি। আমাদের মধ্যে এখন আর স্বার্থের দ্বন্দ্ব নয়, দেশের জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক সিফগাতুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রজন্মকে গড়ে তোলার দায়িত্ব ছাত্র সংগঠনগুলোকে নিতে হবে। জুলাই সনদকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জনগণের যে ঐক্য নিশ্চিত হয়েছে, সেটিকে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা করা হলে এ দেশের ছাত্রসমাজ আবারও রাজপথে রক্ত দিতে প্রস্তুত থাকবে। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের বিচার এবং রাজনৈতিকভাবে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।
জাগপা ছাত্রলীগের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক সিফগাতুল্লাহ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সহকারী সম্পাদক খায়রুল ইসলাম মারজান, ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ, জাগপা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের সভাপতি আমির জিহাদী, খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আবুল দারদা সুজন, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ, জুলাই ফোর্সের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, ছাত্র ফোরামের সাবেক সভাপতি সানজিত রহমান শুভ, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ (এবি পার্টি)-এর সভাপতি মোহাম্মদ প্রিন্স, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সভাপতি খালেদ মাহমুদ, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি আহমেদ ইসহাক, ছাত্র ফোরামের সভাপতি রিয়াদ হাসান, ন্যাশনাল ছাত্র মিশনের সভাপতি রেজাউল ইসলাম, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক শেখ মইনুল ইসলাম, মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তোহা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, জাগপা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আরিয়ান শরীফ, প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ধর্ম সম্পাদক মাহবুব আলম নীরব, প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এনামুল হক এনাম প্রমুখ।
টিএ/