ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

তিন-চার ঘণ্টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে সিত্রাং

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
তিন-চার ঘণ্টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে সিত্রাং

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ভোলার কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। আগামী তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে এটি উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে এই তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অতি দ্রুত অগ্রসর হয়ে আজ (২৪ অক্টোবর) রাত ০৯ টায় ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে এবং পরবর্তী ০৩-০৪ ঘন্টার মধ্যে এটি উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। সে সঙ্গে এসব এলাকায় ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় সর্ব্বোচ্চ ৮৮ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। সে সঙ্গে এসব এলাকায় ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

দেশের অন্যান্য জেলায় ভারীবর্ষণসহ ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, টাঙ্গাইল, কিশেরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলার নদী বন্দরসমূহকে ০৩ (তিন) নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৫-০৮ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এজন্য উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড, এর অর্থ ফুল গাছ।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, উপকূল অতিক্রম করার পর ক্রমান্বয়ে শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড়। ধীরে ধীরে এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে ঘূর্ণিঝড় এরপর স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে মঙ্গলবার রাতেই। বুধবার এটি লঘুচাপে পরিণত হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
ইইউডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।