ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

‘নির্ধারিত জায়গার বাইরে যেন কোনো পশু না আসে'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৪
‘নির্ধারিত জায়গার বাইরে যেন কোনো পশু না আসে'

ঢাকা: আসন্ন কোরবানির ঈদের পশুর হাট নিয়ে আমাদের পূর্বপ্রস্তুতি রাখতে হবে উল্লেখ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, নির্ধারিত জায়গার বাইরে রাস্তার পাশে যেন কোনো কোরবানির পশু না রাখা হয় বা বসানো তা নিশ্চিত করতে হবে।  

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এপ্রিল মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

 

এই সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, কোরবানির পশুর হাটের বিষয়ে আয়োজকদের সাথে বসতে হবে, তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে হবে যে, নির্ধারিত জায়গার এক ইঞ্চি বাইরেও যেন কোনো পশু না আসে বা বসানো হয়। প্রয়োজনে হাটের জন্য নির্ধারিত এলাকা বাঁশ দিয়ে ঘিরে রাখতে হবে। নিরাপত্তার জন্য কোরবানির পশুর হাটে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। যত্রতত্র কোরবানির পশু জবাই প্রতিরোধেও যথাযথ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থাকতে হবে।

মোবাইল ফোন সংক্রান্ত অপরাধ উপেক্ষা করা যাবে না উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিককে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি মোবাইল ফোন ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক করতে হবে।

রাজধানীতে চুরির বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, চুরির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চোরদের যেন জামিন না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা ও জামিন পেলেও তাদের গতিবিধি নজরে রাখতে হবে। যেসব এলাকায় চুরি হয় সে এলাকার নৈশপ্রহরীদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে নৈশপ্রহরী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসারদেরও চুরি প্রতিরোধে সক্রিয় করা হবে। পাশাপাশি নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সচেতন করা হবে। প্রত্যেকের জায়গা থেকে ছিনতাই প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেই যেন মামলা গ্রহণ করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সেদিকে প্রতিটি থানার ওসিরা লক্ষ্য রাখবেন। এখন রাজধানীর প্রায় সব বাড়িতেই সিসি ক্যামেরা রয়েছে। চুরি প্রতিরোধে সিসি ক্যামেরা সচল আছে কি না বা বাড়ির পেছনের দিকের লাইট ঠিক আছে কিনা সেগুলো খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সার্ভার ডাউন বা সার্ভার স্লো হওয়ার কারণে আমাদের ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবস্থা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সার্ভার জটিলতায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করতে আসা সাধারণ মানুষের যেন কোনো ভোগান্তি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সার্ভার থাকলে অনলাইনে জিডি হবে, না থাকলে ম্যানুয়ালি জিডি করে দিতে হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহার সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান,  অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, উপ-পুলিশ কমিশনাররা ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৪
এসজেএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।