ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

কোথাও খোলা, কোথাও বন্ধ মার্কেট-শপিং মল-দোকান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
কোথাও খোলা, কোথাও বন্ধ মার্কেট-শপিং মল-দোকান রাজধানীর অনেক এলাকায় রাত ৮টার পরও খোলো ছিল মার্কেট, শপিং মল -ছবি জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য রাত ৮টার পর থেকে সারা দেশে দোকান, মার্কেট, শপিংমল, কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে প্রথম দিনে সোমবার (২০ জুন) রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় সেই নির্দেশনার পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।

এদিন রাত ৮টার পর রাজধানীর মিরপুর-১২, ১১ ও ১০ নম্বর গোল চত্বর, মিরপুর-১ ও ২ নম্বর এলাকার মার্কেট ও শপিং মল ঘুরে দেখা যায় কোথায় খোলা রয়েছে, কোথাও বন্ধের প্রস্ততি চলছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাত ৮টার পর মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বর এলাকার মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, মিরপুর কো-অপারেটিভ মার্কেট, মিরপুর-২ নম্বর এলাকার মিরপুর শপিং সেন্টার সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বন্ধ হয়েছে। এছাড়া মিরপুর-১১ ও ১২ নম্বর এলাকায় মার্কেট, দোকান ও শপিং মল বন্ধ হয়েছে সময়মতো। অন্যদিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকার শাহ আলী মার্কেটে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। কিছু দোকান বন্ধ হলেও, অনেক দোকানই সময় মতো বন্ধ হয়নি।

চলছে ফুটপাতে বন্ধের প্রস্তুতি -ছবি: জিএম মুজিবুর

মিরপুর শপিং সেন্টারের নিরাপত্তা প্রহরী মো. হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের মার্কেট রাত ৮টায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিছু ক্রেতা জোর করে শপিংমলে প্রবেশ করতে চাইছেন।   তবে, বেশির ভাগ ক্রেতাকে মার্কেটে প্রবেশ না করার অনুরোধ করলে তারা শুনেছেন। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করছেন। অল্প কিছু সংখ্যক মালিক দোকান বন্ধ করতে বিলম্ব করছেন।

শাহ আলী থানার এএসআই মো. শাজাহান বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা দোকান মালিক ও মার্কেট মালিকরা মেনে চলছেন। আমাদের থানা এলাকায় রাত ৮টার পর এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

মুদি দোকানের ক্ষেত্রে কী হবে- এমন এক প্রশ্নে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী রোববার (১৯ জুন) সাংবাদিকদের বলেন, আইনে যেসব প্রতিষ্ঠান নির্দেশনার বাইরে থাকবে বলা হয়েছে, তার বাইরে সব ধরনের দোকান বন্ধ থাকবে। সে ক্ষেত্রে মুদি দোকানও রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে। তবে কেনাকাটার জন্য দোকানে ক্রেতা থাকলে আধঘণ্টা পর্যন্ত ক্রেতাকে কেনাকাটার সুযোগ দেওয়া যাবে।

প্রথম দিনে অনেক স্থানেই ছিল সরকারি নির্দেশনা মানায় ঢিলেঢালা ভাব -ছবি: জিএম মুজিবুর

রাত ৮টার পর যেসব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে: ডক, জেটি, স্টেশন অথবা বিমানবন্দর এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস; তরিতরকারি, মাংস, মাছ, দুগ্ধজাতীয় সামগ্রী, রুটি, মিষ্টি ও ফুল বিক্রির দোকান; ওষুধ, অপারেশন সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ অথবা চিকিৎসাসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান; দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির দোকান; তামাক, সিগারেট, পান-বিড়ি, বরফ, খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান এবং বসে খাওয়ার (হালকা) নাশতা বিক্রির খুচরা দোকান; খুচরা, পেট্রল বিক্রির জন্য পেট্রল পাম্প এবং মেরামত কারখানা নয় এমন মোটরগাড়ির সার্ভিস স্টেশন; নাপিত ও কেশ প্রসাধনীর দোকান; যে কোনো ময়লা নিষ্কাশন অথবা স্বাস্থ্যব্যবস্থা; যে কোনো শিল্প, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান, যা জনগণকে শক্তি আলো অথবা পানি সরবরাহ করে এবং ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকান, সিনেমা অথবা থিয়েটার রাত ৮টার পর খোলা রাখা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
এমএমআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।