ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ঘাট ইজারা: বাগেরহাট পৌর মেয়রের নামে জেলা পরিষদের মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
ঘাট ইজারা: বাগেরহাট পৌর মেয়রের নামে জেলা পরিষদের মামলা

বাগেরহাট: নিয়ম না মেনে খেয়াঘাট ইজারার বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের নামে মামলা করেছে জেলা পরিষদ।  

রোববার (১৭ এপ্রিল) জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর সহকারী জজ আদালতে পৌরসভার মেয়রকে বিবাদী করে এ মামলা দায়ের করেন।

 

বাগেরহাট সদরের সহকারী জজ আদালতের বিচারক ড. আতিকুর  সামাদ এ মামলা আমলে নিয়ে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।

মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, বাগেরহাট সদর উপজেলাধীন পাঁচটি ঘাটের (দড়াটানা, মুনিগঞ্জ, ভদ্রপাড়া, সুপারি পট্টি ও দড়াটানা ব্রিজের নিচের ঘাট) মালিক জেলা পরিষদ।  

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার এ পাঁচটি ঘাট বাগেরহাট জেলা পরিষদের তালিকাভুক্ত সম্পত্তি। কিন্তু নিয়ম না মেনেই বাগেরহাট পৌরসভা এসব ঘাটের ইজারা দিয়ে আসছিল। ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এক চিঠির মাধ্যমে বাগেরহাট পৌরসভাকে ইজারা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলে জেলা পরিষদ। কিন্তু এরপরও বেআইনিভাবে ইজারা কার্যক্রম ও ঘাটের টোল আদায় করতে থাকে পৌরসভা। পরে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ঘাটগুলো ইজারা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয় এবং সর্বোচ্চ দরদাতাদের অনুকূলে ঘাটগুলো ইজারা দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী ৩০ মার্চ ইজারা গ্রহীতাদের অনুকূলে ঘাটের দখল বুঝিয়ে দেয় জেলা পরিষদ।

কিন্তু বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান ৫ এপ্রিল আকস্মিকভাবে ঘাটগুলো আবার ইজারা দিতে দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেন। যা আইনের পরিপন্থী। এর ফলে সরকার তথা জেলা পরিষদ রাজস্ব হারাবে।

বিবাদী অত্যন্ত ক্ষমতাসীন হওয়ায় বাদী আইনের আশ্রয় নিয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পৌরসভার বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয় মামলায়।

বাগেরহাট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা বলেন, জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ঘাটগুলো ইজারা দেওয়ার পর বেআইনিভাবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বান করার কারণে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি, যাতে ঘাট নিয়ে ইজারাদারদের মধ্যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।  

জেলা পরিষদের আইনজীবী ফকির নওরেশুজ্জামান লালন বলেন, আদালত আমাদের আবেদনটি আমলে নিয়েছেন। ঘাটগুলো ইজারা দেওয়া কেন অবৈধ হবে না, তা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পৌরসভাকে জানানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।  

পৌরসভা আদালতের এ শোকজের জবাব দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।