ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলনকে ‘তিরস্কার’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২১
অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলনকে ‘তিরস্কার’

ঢাকা: দুর্নীতি দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১০ কর্মকর্তার উইং চাওয়া ওএসডি অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলনকে তিরস্কার করেছে সরকার।

তবে তিনি ওএসডি থাকলেও পদায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (১২ মার্চ) জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বাংলানিউজকে বলেন, তাকে তিরস্কার করা হয়েছে। তবে অবশ্যই তাকে পোস্টিং করা হবে।

‘তিন মাসে দুর্নীতি দূর করতে ১০ কর্মকর্তার উইং চান অতিরিক্ত সচিব’- রেলপথ মন্ত্রণালয়ে থাকাকালে তাকে উদ্ধৃতি দিয়ে খবর প্রকাশ হয় দেশের একটি অনলাইন গণমাধ্যমে। এ বক্তব্যের জন্য গত বছরের ছয় আগস্ট তাকে ওএসডি করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। সেই মামলায় দণ্ড হিসেবে তাকে ‘তিরস্কার’ করে সরকার।

সম্প্রতি জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাহবুব কবীরের উদ্ধৃতি দিয়ে গত ২৯ জুলাই একটি অনলাইন পত্রিকায় ‘তিন মাসে দুর্নীতি দূর করতে ১০ কর্মকর্তার উইং চান অতিরিক্ত সচিব’ শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশিত হয়।

‘যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত ও প্রকৃত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র ব্যতীত পত্রিকায় প্রকাশিত এ লেখায় তার মনগড়া, ভিত্তিহীন ও সরকারের জন্য অস্বস্তিকর বক্তব্য প্রকাশিত হওয়া সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল হওয়ায় এবং তিনি সরকারের অতিরিক্ত সচিব পদের কর্মকর্তা বিধায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। ’

এতে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রুজু করা বিভাগীয় মামলায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৫ নভেম্বর তারিখের ১৮৭ নম্বর স্মারকে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী পাঠানোর মাধ্যমে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি ১৫ নভেম্বর লিখিত জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করেন। বিভাগীয় মামলায় গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ব্যক্তিগত শুনানিতে মামলার অভিযোগ, উভয় পক্ষের বক্তব্য, দাখিল করা কাগজপত্র ও প্রাসঙ্গিক সব বিষয়ে পর্যালোচনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

এতে আরও বলা হয়, এ বিভাগীয় মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং অভিযোগের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক প্রশাসনিক বিষয়টি বিবেচনায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ৪(ক) মোতাবেক তাকে ‘তিরস্কার’ নামের লঘুদণ্ড প্রধানের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে এ লঘুদণ্ড আরোপের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সম্মতি জ্ঞাপন করেন।

‘তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং অভিযোগের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি বিবেচনায় একই বিধিমালার বিধি ৪(ক) মোতাবেক তাকে তিরস্কার নামের লঘুদণ্ড দেওয়া হলো। '

২০২০ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান থাকার সময় ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে ভূমিকা পালনে আলোচিত হন মাহবুব কবীর।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২১
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।