ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউন ও পোশাক কারখানায় লাগা আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ১৬ জনের মধ্যে ছয়জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
বুধবার (১৫অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে ছয় লাশের ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ করেন ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. ফারহানা ইয়াসমিন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিআইডির ফরেনসিকের ল্যাব পরীক্ষক মো. মাসুদ রাব্বী।
মাসুদ রাব্বী বলেন, ময়নাতদন্তের সময় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ছয়জনের হাড় ও টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে পাশাপাশি আরও ১০ লাশের বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ময়নাতদন্তের সময় প্রতিটি লাশ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া লাশের দাবিদারদের বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় মালিবাগ সিআইডি ল্যাবে গিয়ে নমুনা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ১৬ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন রূপনগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মুখলেসুর রহমান লস্কর। তিনি বলেন, ১৬ লাশের মধ্যে ১১ লাশের নাম উল্লেখ করে সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া আর বাকি পাঁচ লাশের উপযুক্ত পরিচয় পাওয়া যায়নি। আবার এটাও দেখা গেছে এ পাঁচ লাশের মধ্যে একটি লাশকে দুই তিনটা পরিবার দাবি করছে। এর জন্যই লাশগুলো থেকে ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে যে ছয় লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলো তারা হলো: বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার মৃত ওমর ফারুকের মেয়ে মাহিরা আক্তার (১৪), ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার দলিগর নগর গ্রামের ওয়াজি উল্লাহর মেয়ে নার্গিস আক্তার (১৮), শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে ছানোয়ার হোসেন (২৫), গাইবান্ধা সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে নূরে আলম সরকার (২৩), বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার দাড়ি কাটা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আল মামুন (৩৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার তিলকনগর গ্রামের নজু মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম রবিন (২০)। আগামীকাল এসব লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এজেডএস/আরআইএস