ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

চামড়া পাচারের শঙ্কায় খুলনায় ১২ চেকপোস্ট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
চামড়া পাচারের শঙ্কায় খুলনায় ১২ চেকপোস্ট বিক্রির জন্য রাস্তার পাশে জড়ো করা হচ্ছে কোরবানির পশুর চামড়া

খুলনা: সাতক্ষীরা ও যশোর সীমান্তবর্তী এলাকায় কোরবানির পশুর চামড়ার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ভারতে চামড়া পাচারের কাজে প্রতিবছরই নিয়োজিত থাকেন। এ বছরও এর ব্যত্যয় ঘটবে না বলে আশঙ্কা করছেন খুলনায় চামড়ার পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় হয়ে উঠছে চামড়া পাচারকারী সিন্ডিকেট। সরকারিভাবে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কম নির্ধারণ হওয়ায় সিন্ডিকেটের তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

 

বুধবার (২২ আগস্ট) কোরবানির ঈদের দিন মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভিন্ন পাড়া-মহল্লায় তাদের নির্ধারিত এজেন্টের মাধ্যমে চামড়া কেনাচ্ছেন।  

তবে দক্ষিণাঞ্চল থেকে চামড়ার পাচার ঠেকাতে সক্রিয় রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এরইমধ্যে সীমান্তবর্তী ৭ জেলায় কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে খুলনার ৪ উপজেলার ১২টি পয়েন্টে ঈদ পরবর্তী সময়ে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

খুলনা মহানগরীর শেখপাড়া চামড়াপট্টির ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে চামড়ার অনেক দাম। প্রতিনিয়ত সেখানে নতুন নতুন ট্যানারি গড়ে উঠছে। চাহিদাও বেশি।  

তারা বলেন, দেশে চামড়ার দাম কম থাকায় বরাবরের মতো এবারও চামড়া পাচার হবে।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, শেখপাড়া প্রধান সড়ক ও শেরে বাংলা রোডের সংযোগস্থলের চামড়াপট্টিতে রাস্তার উপরেই চামড়া এনে রাখছেন ব্যবসায়ীরা।  

ব্যবসায়ীরা জানান, চামড়া ব্যবসায়ীদের জন্য পৃথক মার্কেট বা বাজার নেই। বাড়ির মালিকরা চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে দোকান ভাড়া দিতে চান না। এজন্য  রাস্তার ওপরই চামড়া সংরক্ষণ করতে বাধ্য হতে হচ্ছে।  

চামড়া ব্যসায়ীদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট মার্কেট নির্মাণের দাবি জানান তারা। খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ডালী বলেন, এবারও চামড়ার দাম কম হওয়ায় ৫০ ভাগ চামড়া ভারতে পাচার  হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে খুলনার চামড়া ব্যবসায়ীরা এবছরও অসাধু ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। ট্যানারি মালিকরা বকেয়া টাকা না দেওয়ায় চাহিদা ও সুবিধামতো চামড়া কিনতে পারছেন তারা। এই সুযোগে ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা করছেন প্রকৃত ব্যবসায়ীরা।  

যদিও কোরবানির আগে থেকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, চামড়া পাচারের আশঙ্কা নেই।

খুলনা জেলার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে পাচাররোধে কড়া নজরদারি বসিয়েছেন পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পশুর চামড়া পাচার যাতে না হয় সেজন্য জেলা পুলিশ  ১২টি চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা,  আগস্ট ২২ , ২০১৮
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।