বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে এক ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে সরকারের অবস্থান কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
ব্রিফিংয়ের বিষয়ে রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী কূটনীতিকদের জানান, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই কোটা প্রথা চালু করেন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুযোগ দেওয়ার জন্যই এই কোটা প্রথা চালু হয়েছিলে। বিশেষ করে নারী, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটা চালু হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিকদের জানান, কোটাবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও কোটা বিরোধীরা সেই আন্দোলন চালিয়ে যায়। আন্দোলনের নামে তারা নাশকতা ও ভাঙচুর চালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাড়ি ভাঙচুর করে। দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন বিঘ্ন ঘটাতেই এ আন্দোলন। কোটা আন্দোলনের পেছনে বিএনপি-জামায়াত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালেও বিএনপি-জামায়াত এ ধরনের নাশকতা চালিয়েছিলে। যে কারণে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে থেকে তাদের বিরুদ্ধে দু’টি রেজ্যুলেশন নেওয়া হয়।
কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ঢাকার কয়েকটি মিশনের বিবৃতি দেওয়া নিয়েও কথা বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী। ওই বিবৃতির বিষয়ে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
ব্রিফিংকালে ঢাকার বিভিন্ন দূতাবাস ও মিশনের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
টিআর/এএ