টানা বর্ষণ ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত দিয়ে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে ফেনী সদরের পাচঁগাছিয়া ও শর্শদী এবং দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দরপুর, রাজাপুর ও দরবেরেশের হাট এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
জলাবদ্ধতার কারণে এলাকাগুলোতে বন্ধ রয়েছে স্কুল মাদ্রাসা।
জানা গেছে, ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ছোট ধলিয়া,ডমুরুয়া, এলাহীগঞ্জ, বিরলী, রতনপুর, উজালিয়া, ভগবানপুর, শর্শদী ইউনিয়নের আবুপুর, দক্ষিণ আবুপুর, উত্তর আবুপুর, কুমিরা, দাগনভূঞা সিন্দুরপুরের সেকান্দরপুর, কৌশল্লা, মোহরবাগ, উত্তর কৈখালী , দক্ষিন কৈখালী, গৌতমখালী, রাজাপুর ইউনিয়নের শরীফপুর, জয়নারায়ন পুর, রাজাপুর ঘোনা, গণিপুরসহ সবক’টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে পানির উচ্চতা ক্রমেই বাড়ছে।
এছাড়া ফেনীর সোনাগাজীতে বেড়িবাঁধের বাইরে ঘর-বাড়ি ছোট নদীর জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, উচুঁ ভুমি থেকে পানি নিম্নাঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। যার কারণে এসব এলাকায় বৃষ্টি না হলেও পানি বাড়তে থাকবে। বন্যা পরিস্থিতি বেশ কয়েকদিন স্থায়ী হবে।
তারা আরো জানান, স্থানীয় খালগুলো ভরাট এবং কচুরিপানা জমে থাকায় পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার কারনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন শশর্দী ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্থানীয় জনগণকে আহবান করেন যেকেনো পরিস্থিতি প্রশাসনকে জানাতে প্রশাসন তাদের পক্ষ থেকে ভুমিকা রাখতে সচেষ্ঠ থাকবে।
দাগনভূঞাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির মজুমদার বন্যার্ত এলাকার মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
এসএইচডি/বিএস