এ ঘটনায় সোমবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূর বাবা বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
রোকেয়া বেগম বিউটি উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের বনকেশর গ্রামের মেহেদি হাসানের স্ত্রী।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, পাঁচন্দর ইউনিয়নের চুনিয়াপাড়া গ্রামের রোকেয়া বেগম বিউটির সঙ্গে সাত মাস আগে মেহেদির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মেহেদি যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে মেহেদি মাঝে মধ্যে বিউটিকে নির্যাতন করতেন। দুপুরে বিউটির শ্বশুর বাড়ির একটি ঘর থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে বিউটির গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করছেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এদিকে, বিউটির বাবা রবিউল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিউটিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে বিউটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। পরে সন্ধ্যায় গৃহবধূর বাবা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিউটির স্বামী মেহেদি, শ্বশুর শামসুদ্দিন, শাশুড়ি মজিদা বেগম এবং বিউটির ভাসুর ও তার স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর বিউটির ভাসুর, তার স্ত্রী এবং শ্বাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান রেজাউল করিম।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
এসএস/এসজে/এনটি