আজ ৩ অক্টোবর, জার্মান পুনঃএকত্রীকরণের ৩৫ বছর পূর্ণ হলো। ১৯৯০ সালে এদিনে বিভক্ত পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি একটি একক রাষ্ট্র জার্মানি হিসেবে পুনগর্ঠিত হয়।
জার্মানির বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেশটির বামপন্থি রাজনীতিক বোডো রামেলোর জাতীয় পতাকা, সংগীত ও সংবিধান নিয়ে গণভোটের প্রস্তাব এই বিতর্ক ও প্রশ্নের নতুন করে জন্ম দিয়েছে। রামেলোর ভাষায়, পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে এখনো এক ধরণের মানসিক ও সামাজিক দূরত্ব রয়ে গেছে।
এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন বর্তমান সরকারের পূর্বাঞ্চলবিষয়ক কমিশনার এলিজাবেথ কাইজার। তিনি বলেন, গণতন্ত্র নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশেই জনগণের মধ্যে সমর্থন রয়েছে, তবে পূর্বাঞ্চলের মানুষের মধ্যে রাষ্ট্রের প্রতি কিছুটা অবিশ্বাস আছে, যা অতীতের রাজনৈতিক ইতিহাসের ফল।
প্রসঙ্গত ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি বিভক্ত হয়ে যায়। পশ্চিম অংশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণে। পূর্ব অংশ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন বা রাশিয়ার অধীনে। পূর্ব জার্মানি সমাজতন্ত্রের আদলে পরিচালিত হত। ১৯৬১ সালে দুই জার্মানির মাঝে বার্লিন প্রাচীর তৈরি করা হয়। যা ছিল দেশটির বিভাজনের প্রতীক। ১৯৮৯ সালে দুই দেশের জনগণ বিশেষ করে পিছিয়ে থাকা পূর্ব জার্মানির জনগণ প্রাচীর ভেঙে ফেলে। এরপরই ১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির পুনর্মিলন ঘটে। পূর্ব জার্মানির সংসদ বিলুপ্ত হয় এবং পশ্চিম জার্মানির সংবিধানের আওতায় দেশ একীভূত হয়।
৩৫ বছর পরও বিভাজনের ছাপ পুরোপুরি মুছে যায়নি বলেই মত অনেক বিশেষজ্ঞের।
জার্মান ইউনিটি ডে উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও বক্তৃতায় এই বিভাজন স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। জার্মানির বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা জার্মান ইউনিটি ডে উপলক্ষ করে পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যে ভ্রমণ ও পারস্পরিক সংলাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এএটি