যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারের একটি সিনাগগের বাইরে সন্ত্রাসী হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। সন্দেহভাজন হামলাকারীকেও গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে ক্রাম্পসাল এলাকার হিটন পার্ক হিব্রু কংগ্রেগেশন সিনাগগের কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের কিছু পরেই পুলিশের কাছে খবর পৌঁছায়, একটি গাড়ি দিয়ে পথচারীদের চাপা দেওয়া হয়েছে এবং একজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ জানায়, সকাল ৯টা ৩৮ মিনিটে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। যাকে গুলি করা হয়, যিনি হামলাকারী বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিন মিনিট পর সকাল ৯টা ৪১ মিনিটে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছায় এবং গাড়ি ও ছুরিকাঘাতে আহত চারজনকে চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়।
পুলিশ জানায়, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। তবে হামলাকারীর পরনে যে ভেস্টটি বিস্ফোরক মনে হচ্ছিল, পরে তা ভুয়া বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ব্রিটিশ পুলিশ ‘প্লেটো’ কোডওয়ার্ড ঘোষণা করে, যা দেশটির জরুরি সেবাগুলোর মধ্যে ‘মারাওডিং টেরর অ্যাটাক’ বা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত হয়।
মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান সহকারী কমিশনার লরেন্স টেইলর বলেন, এটিকে আমরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করছি। তবে জনগণের জন্য আর কোনো ঝুঁকি নেই।
গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশের প্রধান কনস্টেবল স্টিফেন ওয়াটসন জানান, হামলাকারীর পরনে এমন একটি ভেস্ট ছিল, যা বিস্ফোরক ডিভাইসের মতো দেখাচ্ছিল। পরে তা ‘অকার্যকর’ হিসেবে শনাক্ত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বহুসাংস্কৃতিক এই এলাকায় আগে কখনো এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
বোকারভেল এলাকার বাসিন্দা স্যাম মার্টিন (৪১) বলেন, এখানে মুসলিম, ইহুদি সবাই মিলে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করি। ইহুদি সম্প্রদায় সবসময় আমাদের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়েছে। আমি ভাবতেই পারছি না, এখানে এমন কিছু ঘটতে পারে।
অন্য এক স্থানীয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জাকি (২৩) বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম আতশবাজি ফাটছে। পরে পুলিশের গাড়ি আর হেলিকপ্টার দেখে বুঝলাম গুলি হয়েছে। আমাদের কমিউনিটি খুব ভালো সম্পর্কের মধ্যে আছে। আমাদের প্রতিবেশীরাও ইহুদি। তবে আশঙ্কা হচ্ছে, কেউ কেউ হয়তো গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার অজুহাতে বর্ণবাদী হামলার চেষ্টা করছে।
এমজে