ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৬ জুন ২০২৫, ০৯ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

দীপু মনিসহ ৪৯০ জনের নামে হত্যা মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২৫, জুন ৪, ২০২৫
দীপু মনিসহ ৪৯০ জনের নামে হত্যা মামলা দীপু মনি, জে আর ওয়াদুদ টিপু, জিল্লুর রহমান জুয়েল, সুজিত রায় নন্দী ও আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল

চাঁদপুর: ২০১৩ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিলে হামলা এবং গুলিবর্ষণের ঘটনায় ছাত্রদল নেতা তাজুল ইসলাম (২০) নিহত হন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনিসহ ৪৯০ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

বুধবার (৪ জুন) দুপুরে নিহত তাজুল ইসলামের বড় ভাই মো. ফারুকুল ইসলাম চাঁদপুর সদর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।  

বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসিন আরাফাত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাঁদপুর সদর মডেল থানাকে এফআইআর রুজু করার নির্দেশ দেন।  

নিহত তাজুল ইসলাম জেলা সদর উপজেলার ১২ নম্বর চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের আনোয়ার উল্লাহ পাটওয়ারীর ছেলে। মামলার বাদী ফারুকুল ইসলাম তার বড় ভাই।

মামলায় ১৪০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০-৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।  

উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে ১৮ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আয়োজিত অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা ও গুলি করেন। এতে ছাত্রদল নেতা তাজুল ইসলাম (রতন) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। একই ঘটনায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আরও প্রায় ৩০০ জন আহত হন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ঘটনার পর ১ ও ২ নম্বর আসামির নির্দেশে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট ও তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে তৎকালীন বৈরী রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসামিদের হুমকি-ধমকির কারণে মামলাটি তৎক্ষণাৎ দায়ের করা সম্ভব হয়নি। তবে ২০২৩ সালের ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাকস্বাধীনতা ফিরে আসায় বিলম্বে হলেও মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলার বিষয়ে বাদী মো. ফারুকুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ অনুকূলে না থাকা ও বিবাদী পক্ষের নানা হুমকির কারণে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। এখন ন্যায়বিচারের আশায় মামলা করেছি। আশা করি আদালতের মাধ্যমে সুবিচার পাব।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাদের জিলানী মিল্টন বলেন, প্রায় এক যুগ পরে হলেও আইনের শরণাপন্ন হয়েছেন বাদী। আমরা আশা করছি, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।