গাজীপুর: ঈদুল আজহার ছুটিকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের স্রোত ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট। শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর থেকে শুরু করে টাঙ্গাইলের গোড়াই পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে গাড়ির দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, রাজধানী ও আশপাশের পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন কলকারখানায় ছুটি ঘোষণার পরপরই মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ফলে মহাসড়কে বাড়ে গাড়ির চাপ। স্বাভাবিক চলাচলের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি যানবাহন চলতে থাকায় এক পর্যায়ে গতি কমে আসে এবং কোথাও কোথাও পুরোপুরি থেমে যায়। প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকেই যাত্রীবাহী বাস না পেয়ে ট্রাক কিংবা পিকআপ ভ্যানে চড়ে গন্তব্যের দিকে রওনা হচ্ছেন।
পুলিশ বলছে, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ধীরগতিতে গাড়ি চলতে বাধ্য হচ্ছে। তবে যানজট কমাতে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম জানান, মহাসড়কে কিছু কিছু জায়গায় যানজট সৃষ্টি হলেও যান চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। গাড়ির গতি ধীর, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টহল ও সহায়তামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
অন্যদিকে, মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি আইয়ুব আলী বলেন, যানবাহন থেকে যাত্রী ওঠানামার জন্য বারবার গাড়ি থামানো হচ্ছে মহাসড়কে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গাড়ির গতি কমে আসছে এবং স্থানীয়ভাবে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। পুলিশ এসব স্থানে বিশেষ নজর রাখছে এবং যানজট নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের টঙ্গীর বোর্ডবাজার, চান্দনা চৌরাস্তা ও মাওনা চৌরাস্তা এলাকাতেও থেমে থেমে যানজট লক্ষ্য করা গেছে। ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস হওয়ায় এসব এলাকাতেও গাড়ির চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। অবস্থা স্বাভাবিক করতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশকেও সক্রিয় দেখা গেছে।
আরএস/এমজে