সিরাজগঞ্জ: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টির কারণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। গত তিনদিনে জেলা শহরের হার্ড পয়েন্ট এলাকায় পানির স্তর বেড়েছে ২ দশমিক ২৮ মিটার।
একইভাবে জেলার কাজিপুর উপজেলার মেঘাই পয়েন্টে তিনদিনে পানি বেড়েছে ২ দশমিক ২২ মিটার এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ সেন্টিমিটার। দ্রুতগতিতে পানি বাড়ার ফলে অভ্যন্তরীণ নদী-নালা ও খালের পানিও বাড়ছে, যে কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯০ মিটার, যা বিপৎসীমার (১২ দশমিক ৯০ মিটার) ১ মিটার নিচে রয়েছে। গত ৩ জুন এই পয়েন্টে পানি বেড়েছিল ৮৩ সেন্টিমিটার এবং ৪ জুন ৭৭ সেন্টিমিটার।
অপরদিকে কাজিপুর উপজেলার মেঘাই পয়েন্টে পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫৫ মিটার, যা বিপৎসীমার (১৪ দশমিক ৮০ মিটার) ১ দশমিক ২৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে ৩ জুন পানি বেড়েছে ৭৩ সেন্টিমিটার এবং ৪ জুন ৮৩ সেন্টিমিটার।
পানি বাড়ার ফলে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত এলাকায় দেরিতে রোপণ করা পাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাজমুল হোসাইন বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে যমুনার পানি বাড়ছে। শুক্রবার (৬ জুন) পানি কিছুটা বাড়তে পারে। তবে তারপর থেকে পানি স্থিতিশীল হয়ে কমতে শুরু করবে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আ জা মু আহসান শহীদ সরকার বলেন, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বিশেষ করে তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুরের চলনবিল এলাকায় দেরিতে রোপণ করা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। চরাঞ্চলের নিম্নভূমিও প্লাবিত হয়েছে। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট হিসাব নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
এসআরএস