মানিকগঞ্জ: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ লক্ষ্য করা যায়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানায়, পদ্মা সেতু চালুর পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসে। তবে ঈদসহ বড় উৎসবগুলোতে এ রুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ে। পূর্বের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরি থাকায় গত কয়েকটি ঈদে যাত্রীদের তেমন কোনো ভোগান্তি হয়নি। এবারও ঈদে নদীপথে নির্বিঘ্ন পারাপারের আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় যাত্রা নিশ্চিত করতে ছোট-বড় ২২টি ফেরি চলাচল করছে। পাশাপাশি যাত্রী পারাপারের ৩২টি লঞ্চও কাজ করছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা মাদারীপুরগামী যাত্রী আব্দুল হক বলেন, সকালে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছেছি। এবারের ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো ভোগান্তি হয়নি। বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছি—এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।

অহনা নামে একজন নারী যাত্রী বলেন, আমি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। ছুটি হওয়ায় গ্রামে যাচ্ছি পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে। আগের তুলনায় রাস্তার অবস্থা ভালো, ভাড়াও অতিরিক্ত দিতে হয়নি।

বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন বলেন, পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরি থাকায় ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন স্বাচ্ছন্দ্যে নদী পার হতে পারছে। আশা করি, গত বছরের মতো এবারও যাত্রীরা কোনো ভোগান্তি ছাড়াই নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।

এসআরএস