ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের মিছিল এবং পুলিশের সাথে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মাঝেই মঙ্গলবার রাতে মাতেও রেতেগির জোড়া গোল এবং জিয়ানলুকা মানচিনির শেষ মুহূর্তের গোলে ইসরায়েলকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ইতালি। এই জয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের প্লে-অফ পর্বে খেলা অন্তত নিশ্চিত করলো আজ্জুরিরা।
টানা দুই বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়া ইতালি এবারও সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। গ্রুপ 'আই'-এ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নরওয়ে, অন্যদিকে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইতালি। দুই দলেরই দুটি করে ম্যাচ বাকি।
এই জয়ে ইতালির পয়েন্ট ইসরায়েলের চেয়ে ৬ বেশি এবং ইসরায়েলের মাত্র একটি ম্যাচ বাকি থাকায় তারা ইতালিকে টপকে যেতে পারবে না। আগামী ১৩ নভেম্বর ইতালি মলদোভার বিপক্ষে মাঠে নামবে এবং এর তিন দিন পর নরওয়ের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে, যা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণী ম্যাচ হয়ে উঠতে পারে।
ম্যাচ শেষে ইতালির কোচ জেন্নারো গাত্তুসো বলেন, 'আজ আমাদের জেতাটা খুব দরকার ছিল। আমরা খুব ভালো খেলেছি। '
এক মাস আগে ইসরায়েলের বিপক্ষে ৫-৪ গোলের রুদ্ধশ্বাস জয়ের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, 'এক মাস আগের ম্যাচটি আমাদের মনে আছে। তারা সেদিন আমাদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিল। '
মঙ্গলবার রাতে উদিনেতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরুতে ইসরায়েলই ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল। উইঙ্গার মানোর সলোমনের একটি শট দারুণভাবে রুখে দেন ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে মাতেও রেতেগি দলকে এগিয়ে দেন। ডি-বক্সের ভেতর ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় ইতালি এবং সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় এক ঘণ্টা পর অস্কার গ্লুখের একটি শট বাঁচিয়ে দেন দোন্নারুম্মা। ৭৪ মিনিটে রেতেগি নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। ডি-বক্সের বাইরে বল কেড়ে নিয়ে ভেতরে ঢুকে বাঁকানো শটে গোলটি করেন তিনি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে কর্নার থেকে হেডে গোল করে দলের ৩-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন ডিফেন্ডার জিয়ানলুকা মানচিনি।
ম্যাচ শুরুর আগে কিছু দর্শক ইসরায়েলের জাতীয় সঙ্গীতে দুয়োধ্বনি দেয়। এদিকে, শহরের কেন্দ্রে একদল বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা পটকা ও ব্যারিকেড ছুড়ে মারলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ২৫ হাজার আসনের স্টেডিয়ামে দর্শক উপস্থিতি ছিল মাত্র ১০ হাজারের মতো।
গ্রুপে নরওয়ের সঙ্গে সমান পয়েন্ট নিয়ে শেষ করলেও গোল ব্যবধানে অনেক পিছিয়ে থাকায় ইতালিকে সম্ভবত প্লে-অফের কঠিন পথই পাড়ি দিতে হবে।
এমএইচএম