শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ষোলশহর আলমগীর খানকা-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে আল্লামা তাহের শাহ’র নেতৃত্বে জশনে জুলুস শুরু হয়। নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দুপুর দুইটায় জামেয়ার মাঠে পৌঁছে।
সেখানে যোহরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের পরে আলোচনা সভা শেষে মুসলিম উন্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন আল্লামা তাহের শাহ (মা.আ)।
আলোচনা সভায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপর বিশেষ আলোচনায় অংশ নেন আল্লামা তাহের শাহ’র দুই শাহজাদা সৈয়দ মো. কাশেম শাহ ও সৈয়দ মো. হামেদ শাহ।
আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ঐতিহাসিক জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সব সময় সহযোগিতা করেছে। এ জুলুসকে আরও বর্ণাঢ্য করতে আগামীতেও সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে পিএইচপি পরিবারের চেয়ারম্যান সুফি মো. মিজানুর রহমান, আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মো. আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি মো. শামসুদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি মো, সিরাজুল হক, অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল সেক্রেটারি এস এম গিয়াস উদ্দিন শাকের, প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশান সেক্রেটারি কাজী শামসুর রহমান, গাউসিয়া কমিটির বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, জামেয়া আহাম্মদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. দিদারুল ইসলাম, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ অছিয়র রহমান, কাউন্সিলর মোবারক আলী, মোরশেদ আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জুলুসে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের থেকে লাখ লাখ সুন্নি জনতা গত বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রামে আসতে শুরু করেন। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলা থেকে বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে জুলুসে যোগ দেন লাখ লাখ মানুষ।
‘জশনে জুলুস’ আল্লার ইবাদত, নবীর সুন্নত
‘সবচে আওলা’ ধ্বনিতে মুখরিত বন্দর নগরী
বর্ণাঢ্য জশনে জুলুস শুরু, নেতৃত্বে তাহের শাহ
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৭
এমইউ/টিসি